স্বাস্থ্যসাথী না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে সেই হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। বুধবার নবান্নে বৈঠক শেষে এমনই বার্তা দিলেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম হোম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এসেছে। স্বাস্থ্য সচিবকে বিষয়গুলি দেখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রাফ অ্যান্ড টাফ হতে হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।” পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অধীনে চিকিৎসার সুযোগ আরও বাড়াতে হবে। প্রত্যেক জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। খুব ক্রিটিক্যাল না হলে বাইরে না যাওয়াই ভালো। সকলকে অনুরোধ করব এখানেই চিকিৎসা করুন। আমার রাজ্যের টাকা আমার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে থাকুক। যে সব নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিচ্ছে, নিচ্ছে না, তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।”

বুধবার নবান্নে জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক রয়েছে। যারা পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজনের অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও তাঁরা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। তবে সকলকেই বলব সতর্ক থাকতে হবে। যদি চতুর্থ ঢেউ আসেও তা মোকাবিলা করবে রাজ্য। আপানারা সকলেই মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।”

উল্লেখ্য, বকেয়া অর্থ না মেটালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল। একই সঙ্গে প্যাকেজ রেট বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছিল সেই চিঠিতে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে পাঠানো ওই চিঠি অনুযায়ী, রাজ্যের কাছে তাদের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এই অর্থ না মেটালে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছিল ওই ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল।

এর আগেও স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। কিন্তু, রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করে।রোগীকে ‘ডিসচার্জ’ করার ২০ দিনের মাথায় টাকা পেয়ে যাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমস্যার সমাধান না হলে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় বেশিদিন পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছিল ওই বেসরকারি হাসপাতালগুলি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*