এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে চলছে তদন্ত। এই মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট পেশ করল বাগ কমিটি। ওই রিপোর্টে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট এগারোজন আধিকারিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে করা যাবে এফআইআর। ছ’ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করে বাগ কমিটি। আগামী ১৮ মে মামলার রায় ঘোষণা।
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।বিচারপতি আর কে বাগের কমিটি গ্রুপ সি নিয়োগের দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেয়। আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মোট ৩৮১ জনকে সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতালের কাছে নতুন ভবন থেকে প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরেও বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। নম্বর বাড়িয়ে এবং ওএমআর শিটে গন্ডগোল করে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের। ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি। বাকিরা পাশ করেননি। উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিংহ নিয়োগের সুপারিশ করেন। ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করেছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব অশোককুমার সাহা, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কমিশনের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন, মহুয়া বিশ্বাস, চৈতালি ভট্টাচার্য এবং বোর্ডের টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েকের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা বাগ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌমিত্র সরকার, অশোক কুমার সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্যের নামে প্রয়োজনে এফআইআর (FIR) করা যেতে পারে। এছাড়া সুবীরেশ ভট্টাচার্য, চৈতালি ভট্টাচার্য, শর্মিলা মিত্র, মহুয়া বিশ্বাস, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ বাগ কমিটির। এসএসসি নিয়োগ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৮ মে মামলার রায় ঘোষণা।
Be the first to comment