অভিনত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু ঘিরে ব্যপক আলোড়ন পড়েছে ৷ আত্মহত্যা নাকি খুন হলেন অভিনেত্রী তা নিয়ে রহস্য ঘণীভূত হচ্ছিল। যদিও লালবাজারে হাতে আসা ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট খুনের তত্ত্বকে খারিজ করে দিচ্ছে ৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী ৷ তবে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারকরা ৷ যদিও পল্লবীর পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ তারপরেই পল্লবীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেই ময়না তদন্তের রিপোর্টে মিলেছে পল্লবীর আত্মহত্যার ইঙ্গিত।
যদিও অভিনেত্রীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন? সর্বদা হাসিখুশি মেয়েটি হঠাৎ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন? ইতিমধ্যেই অভিনেত্রী পল্লবীর পরনের জামাকাপড় এবং বিছানার চাদর (যা তাঁর গলায় ফাঁস অবস্থায় ছিল) ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷
পল্লবীর রহস্যমৃত্যু তদন্তে তাঁর বয়ফ্রেন্ড সাগ্নিককে আতস কাঁচের তলায় রেখেছে পুলিশ ৷ মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে গড়ফা থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ পল্লবীর সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলেছে । সেইসঙ্গে পল্লবীর ব্যবহার করা মোবাইল ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার এবং ই-মেইল নিজেদের হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা ।
তাহলে কি পল্লবীর সঙ্গে তাঁর পুরুষসঙ্গীর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল? যদিও এই বিষয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন না। তবু বেশ কিছুদিন ধরে পল্লবী এবং তাঁর পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে যে মনোমালিন্য চলছিল তা কার্যত স্পষ্ট। কোনও তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে ঘটেছিল তাদের জীবনে? এমনটা হলে কে সেই তৃতীয় ব্যক্তি? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
Be the first to comment