পল্লবী দের মৃত্যু মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। গ্রেপ্তার করা হল অভিনেত্রীর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। আর্থিক প্রতারণা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সাগ্নিককে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার।
হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার বিবেকভিলের বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের সাগ্নিক। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রেমিকা পল্লবী দে’র সঙ্গে দক্ষিণ শহরতলির গড়ফার ফ্ল্যাটেই লিভ ইন করতেন। গত রবিবার তিনিই প্রথম পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সাগ্নিক জানান, সিগারেট খেতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পল্লবীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকেই দফায় দফায় সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শোনা গিয়েছে, সাগ্নিকের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর সেই রেজিস্ট্রিতে নাকি পল্লবীর সইও ছিল। সাগ্নিকের বন্ধুদের কথায়, বছর দু’য়েক আগে সুকন্যা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি হয়েছিল সাগ্নিকের। সরকারিভাবে আগের বিয়ে হয়তো ভাঙেনি এখনও। যে কারণে পল্লবীকে বিয়ে করতে পারছিলেন না সাগ্নিক।
পরে আবার শোনা যায়, পল্লবীর টাকাতে দামি গাড়ি কেনা হয়েছিল। নিউটাউনে ৮০ লক্ষের ফ্ল্যাট কেনার কথাও শোনা গিয়েছে। সাগ্নিক এবং তাঁর বান্ধবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পল্লবীর পরিবার। খুনের পাশাপাশি আর্থিক প্রতারণারও অভিযোগ আনা হয় সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। নিউটাউনের ফ্ল্যাট সাগ্নিক ও তাঁর বাবার নামে থাকলেও নাকি সেই ফ্ল্যাটের জন্য পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। অভিযোগ, একাধিকবার পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এ বিষয়ে সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
Be the first to comment