নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক কার্যালয়ে পুলিসি হানা নিয়ে পুলিস সুপারের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। ১৪ জুনের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপারকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতির মন্তব্য বিরোধী দলনেতার কার্যালয়ে পুলিসের এমন অভিযান দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি হালকাভাবে দেখা উচিত নয়।
দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক কার্যালয়ে কোনও পরোয়ানা পুলিস তল্লাশি অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। ওই কার্যালয়ে থাকা কয়েকজন কর্মীকেও হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। সেই রাতেই ঘটনার কথা শুভেন্দু টুইট করে জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যাপালও টুইটে রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং মুখ্যসচিবের কাছে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। রাজ্যপালের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল নেতারা। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল রাজভবনকে বিজেপির দফতরে পরিণত করেছেন। আর শুভেন্দু অধিকারী রোজই রাজভবনে ছুটে যাচ্ছেন।
ওই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিস বিধায়ক কার্যালয়ে হানা দিয়েছে আগাম কিছু না জানিয়েই। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার আদালত পুলিস সুপারের রিপোর্ট তলব করল। পুলিস অবশ্য জানায়, অন্য একটি মামলায় এক মহিলার খোঁজে তারা সেখানে গিয়েছিল। পুলিসের কাছে খবর ছিল, ওই মহিলা বিজেপির ওই কার্যালয়ে তখন ছিলেন। যদিও সেখানে গিয়ে পুলিস তাঁকে খুঁজে পায়নি। ওই অফিসে কাউকে হেনস্তা করার অভিযোগে পুলিস অস্বীকার করে।
Be the first to comment