বেহালায় তাঁর সমর্থনে ‘হোক প্রতিবাদ’ মিছিল করতে নিষেধ করে ফেসবুকে পোস্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

Spread the love

বৃহস্পতিবার নেটমাধ্যমে পোস্ট হয়েছিল পোস্টার। যার মোদ্দা কথা— ‘হোক প্রতিবাদ’। কিসের প্রতিবাদ? মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেনস্থার প্রতিবাদ। প্রতিবাদের সেই ‘মহামিছিল’ হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেল ৪টেয়।

প্রায় তার কাছাকাছি সময়েই সেই মিছিলকে ‘মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়নের ১১ বছর’-এর সমর্থনে মিছিলে বদলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। কে নির্দেশ দিলেন? স্বয়ং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একটি ফেসবুক পোস্টে। তবে তৃণমূলের একটি সূত্রের বক্তব্য, যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি করা হয়েছে, সেটি পার্থের ‘ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট’ নয়। সেই অ্যাকাউন্টটি পার্থ ব্যবহার করেন না। যা সত্যি হলে রহস্য ঘনীভূত। কারণ, তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রীর নামের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর বকলমে কে নির্দেশ দিলেন মিছিলের অভিধা এবং উদ্দেশ্য বদলে দেওয়ার!

এসএসসি কাণ্ড নিয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন পার্থ। আদালতের বিভিন্ন নির্দেশও তাঁর ‘পক্ষে’ যায়নি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে তাঁর সমর্থনে পার্থের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের তৃণমূলের একাংশ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। পোস্টার বানিয়ে নেটমাধ্যমে তা নিয়ে প্রচারও চলেছিল। কিন্তু মিছিলের আগে অনুগামীদের জন্য নির্দেশ দেওয়া হল পার্থের নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। অবিলম্বে ওই ধরনের পোস্টগুলি সরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই পোস্টারে লেখা হয়েছিল, ‘আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ও প্রিয় বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে মহামিছিল। সিপিএম এবং বিজেপির কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ আমাদের অভিভাবক তথা বেহালা পশ্চিম বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে শুক্রবার এক প্রতিবাদ মহা মিছিল।’ মিছিলের জমায়েতের স্থান বলা হয়েছিল বেহালার ‘অজন্তা’ সিনেমাহলের সামনে।

তার ২৪ ঘণ্টা মধ্যেই পার্থের অ্যাকাউন্টের ফেসবুক পোস্টে পার্থ লিখছেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ ফেসবুকে হোক প্রতিবাদ নাম করে পোস্ট করছেন। অবিলম্বে এই ধরনের পোস্টগুলি সরিয়ে ফেলুন। মা-মাটি- মানুষের সরকারের উন্নয়েনের ১১ বছরের সমর্থনে মিছিল, কিন্তু অন্য কোনও বিষয় যেন না আসে। আমি সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্মীর কাছে সেই আবেদন জানালাম।’

প্রসঙ্গত, এসএসসি-কাণ্ডে বুধবার পার্থকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। শুক্রবার ফের তাঁকে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন, শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সর্বসমক্ষেই জানিয়েছেন, দল এই ঘটনায় ‘দায়’ নেবে না। একই নীতি নেওয়া হয়েছে অপর মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ক্ষেত্রেও। তাঁকেও শুক্রবার টানা জেরা করেছে সিবিআই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*