লাদাখের অবস্থা ইউক্রেনের মতো হতে পারে! লন্ডনে আয়োজিত ‘Ideas For India’ অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লাদাখের ইন্দো-চিন সংঘর্ষের বিষয়টি তুলে ধরে রাহুল বলেন, “রাশিয়াও ইউক্রেনকে বলত আমরা আপনাদের দেশ দখল করতে চাই না। তবে ওই দেশের দু’টি জেলাকে ইউক্রেনের বলে মানতে নারাজ ছিল রাশিয়া।” তাঁর সংযোজন, “যাতে ইউক্রেন NATO -র সদস্য না হয়, সেইজন্য ওই দু’টি জায়গার দখল নিতে চেয়েছিল রাশিয়া। আর এখন ইউক্রেনের হাল দেখুন!” কংগ্রেস নেতার দাবি, ভারতের LAC জট না কাটলে খুব শীঘ্রই একই দশা হতে পারে লাদাখেরও। রাজনীতিকর কথায়, “ভারত কখনওই নির্বাক দর্শকের দেশে পরিণত হতে পারে না। দেশের জনগন সব দেখছে।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী সবসময় নাগরিকের কথা শুনবেন। অন্তত শোনার মানসিকতা তো থাকতে হবে!” রাহুলের সংযোজন, “আর এটা মাথায় রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে না।” ওই আলোচনা চলাকালীন বিজেপি এবং RSS -কেও একযোগে কটাক্ষ করেন রাহুল।
তাঁর কথায়, “আমরা বিশ্বাস করি, নাগরিকদের মতামতই সব। আর বিজেপি এবং RSS মনে করে, ভারত ‘সোনে কি চিড়িয়া’। এটি একটি ভৌগলিক অবস্থান, যা কিছুজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যায়। তবে আমরা মনে করি ভারত সকলের। ব্রাহ্মণ থেকে দলিত, সকলকে নিয়েই এই দেশ। রাহুল গান্ধীর দাবি, অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কার মতোই অবস্থা হবে ভারতের। এদিন তিনি বলেন, “ভারতে কেরোসিন ছড়ানোর কাজ করে চলেছে বিজেপি। যে কোনও মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। শ্রীলঙ্কার মতো ঘটনা ঘটতেই পারে এই দেশে।”
৫১ বছর বয়সী এই নেতার কথায়, “ভারতের গণতান্ত্রিক বাতাবরণ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণের স্বার্থেই গণতন্ত্র জরুরি। কারণ, আমাদের দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বের কাছে এক নজির সৃষ্টি করেছি। যদি সেই পরিস্থিতি বজায় না থাকে তাহলে গোটা বিশ্ব সমস্যার মুখে পড়বে। আমেরিকা ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি বুঝতে পারছে।”
রাহুলের সংযোজন, “এখন আমাদের দেশে যা চলছে তাকে পরিকল্পিত আক্রমণ বলা চলে। সাংবিধানিক কাঠামোর উপর আঘাত হানা হচ্ছে। আর তার প্রভাব পড়ছে রাজ্যগুলির উপর।” উল্লেখ্য, লন্ডন কনফারেন্সে বসে রাহুল ওই মন্তব্য করায় ফুঁসে উঠেছে বিজেপি। অনেকেই রাহুলকে “দেশ বিরোধী” বলে কটাক্ষ করেছেন।
Be the first to comment