সবেমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পদ গিয়েছে তাঁর। এর মধ্যেই বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। ত্রিপুরারই চণ্ডিপুর যাওয়ার পথে টেক অফ করার আগে তাঁর হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।শনিবার আগরতলা থেকে চণ্ডিপুর যাওয়ার কথা ছিল বিপ্লব দেবের। সময়মতো বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে চড়েন তিনি। রানওয়েতেই কপ্টারের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে কপ্টারটি আর টেক অফ করেনি। পাইলট বিষয়টি বুঝতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। আর দেরি না করে তিনি বিমানবন্দরের লবিতে ফিরে যান। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে হেলিকপ্টারের যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক হয়ে গেলে ফের রওনা দেবেন বিপ্লব দেব। কিন্তু সমস্যা মেটানো যায়নি।
অভিযোগ, কপ্টারের যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টিতে মারাত্মক অবহেলা রয়েছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হোক বা সাধারণ যাত্রী, বিমান বা কপ্টারের উড়ানের আগেই পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। যা কপ্টার টেক অফের আগে ধরা পড়ে। যার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারতেন বিপ্লব দেব।
প্রসঙ্গত. হঠাৎ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়েছেন বিপ্লব দেব। গত শনিবার দুপুরে রাজ্যপালের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ইস্তফার পর বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মার্গদর্শন অনুযায়ী এতদিন কাজ করে চলেছেন। তবে এবার দল তাঁকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চায়। ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “দল চাইছে ২০২৩ নির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে। দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার জন্য সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর দরকার। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। তাই দল আমাকে সংগঠনে কাজে লাগাতে চাইছে।”
Be the first to comment