পৃথক ‘জঙ্গলমহল’ রাজ্যের দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোমবার বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ২৩ থেকে ৪৬টি জেলা করার চিন্তা করতে পারেন, তাহলে আমরাও ‘জঙ্গলমহল’ বা ‘রাঢ় বাংলা’ রাজ্য চাইতে পারি। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বর্ধমান, বীরভূম, আসানসোল নিয়ে ‘রাঢ় বাংলা’ বা ‘জঙ্গলমহল’ রাজ্য গঠন করা হোক। পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সৌমিত্র। সোমবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন এভাবেই রাজ্যভাগের পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। সৌমিত্রর রাজ্যভাগের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল।
সৌমিত্র খাঁ এদিন বলেন, আমাদের এলাকার বালি, পাথর নিয়ে কলকাতায় বাবুদের বাড়ি গড়ে তোলা হচ্ছে। আর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মানুষেরা চাকরি পাচ্ছে না। এই অবস্থায় রাঢ় বঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রাখার কোনও মানে হয় না। তাই রাঢ় বাংলাকে আলাদা রাজ্য করা নিয়ে চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। সাংসদ বলেন, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও আসানসোলকে নিয়ে আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্য গঠিত হলে আমরা এই এলাকার মানুষকে আরও ভালো পরিষেবা দিতে পারব।
তালডাংরা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, পাগলের প্রলাপ বকছেন সাংসদ। জঙ্গলমহলের মানুষ তো আলাদা রাজ্য চাইছেন না। রাজ্য সরকারও চায় না বাংলা ভাগ হোক। ওরা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এর আগে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদরা। আর এবার দক্ষিণবঙ্গকে ভাঙার কথা বলছে। আসলে বিজেপি রাজ্যভাগের পক্ষে। তাই সাংসদদের দিয়ে রাজ্যভাগের কথা বলানো হচ্ছে।
Be the first to comment