নার্সিং-এর নিয়োগে গরমিলের অভিযোগ। স্বাস্থ্যভবন লাগোয়া হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেক এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাইকিং করে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের আধিকারিক ও পুলিশ। তবে দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত স্বাস্থ্যভবন চত্বর।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এবার নার্সিং-এর নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন নার্সিং ছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগের জন্য যে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এমন অনেকের নাম রয়েছে যাঁদের রেজিস্ট্রেশন নেই। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চল্লিশোর্ধ্ব অনেকে চাকরি পেয়েছেন। কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়েছে অনেককে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পাশ করা ছাত্রীরা এখনও চাকরি পাননি কিন্তু ২০২১ সালে পাশ করে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। করোনাকালে পাশ করায় ২০২১ সালে উত্তীর্ণদের নম্বরও অনেকটা বেশি। ফলে আগে উত্তীর্ণরা নিয়োগ নিয়ে অনিশ্চতায় ভুগছেন।
এরকম একাধিক অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল থেকে জড়ো হন স্বাস্থ্যভবনের পাশে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সামনে। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্রথমে বোর্ডের তরফে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সেক্রেটারি নগেন্দ্রনাথ দত্ত। জানানো হয়, তাঁদের হাতে কিছু নেই। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। এরপরই অশান্তি তীব্র আকার নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায় বিক্ষুব্ধরা। টানা বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন।
বিক্ষোভকারীদের একাংশের অভিযোগ, এদিন পুলিশ তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এদিকে দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার ঘোষণা বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের।
Be the first to comment