কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে স্বশাসন দেওয়ার দাবিতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। দুই ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি পরিচালিত হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মমতা মনে করিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার স্বশাসন নিয়ে প্রথম সরব হলেন তিনি।
সোমবার বিকেলে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সিবিআইয়ের স্বশাসনের পক্ষে সওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিপূর্বে একাধিকবার এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন তিনি। কিন্তু এই প্রথমবার সিবিআই-ইডিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাবমুক্ত করার পক্ষে সওয়াল করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির রাজনৈতিক নেতাদের সিবিআই-ইডি কীভাবে হেনস্তা করছে, তাও উল্লেখ করেছেন মমতা। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
মমতার কথায়, “সব ব্যাপারে এজেন্সিকে ব্যবহার করে তুঘলকি কায়দায় সরকার চালাতে চাইছে। বলছি না সব এজেন্সি খারাপ। ওরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। কারণ দুজনের হাতে অটোনমি রয়েছে।” নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা। এর পরই তাঁর দাবি, “দেশকে এজেন্সি রুল থেকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অটোনমি দেওয়া হোক। কেন্দ্র শুধু বেতন দেওয়ার কাজ করবে।”
কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতার কটাক্ষ, “এই সরকার বিরোধীদের অপদস্থ করছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ফেলছে। এরকম নিকৃষ্টমানের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ স্ট্যালিন, মুসোলিনি, হিটলারও করেননি।” তাঁর মতে, “দেশে যা চলছে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ক্ষমতায় এসে এভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা উচিৎ নয়।”
Be the first to comment