কংগ্রেস শিবিরে বড় ধাক্কা। কংগ্রেসের হাত ছাড়লেন কপিল সিব্বল। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ‘G-২৩’-এর অংশ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা-সাংসদ অবশেষে ত্যাগ করলেন পার্টির সঙ্গ। উত্তরপ্রদেশ থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সিব্বল। কংগ্রেসে বাগ্মী নেতা অখিলেশ যাদবের দলের সদস্য কিনা তা নিশ্চিত নয় এখনও । বুধবার অখিলেশ যাদবের উপস্থিতিতে রাজ্যসভার জন্য জমা দিলেন মনোনয়ন। সপার সমর্থনে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সিব্বল বলে খবর।
বুধবার কপিল সিব্বল জানান, তিনি ১৬ মে ছেড়েছেন কংগ্রেস। হাত শিবিরে ইস্তফার পর বর্ষীয়ান নেতা জানান, কোনও নিরপেক্ষ মঞ্চ থেকে মোদীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। তাই অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেশ। উল্লেখ্য, কংগ্রেসে ইস্তফা দিলেও তিনি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে যোগদান করেননি। শুধু মাত্র সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে উত্তরপ্রদেশ থেকে মনোনয়ন পেশ করেছেন রাজ্যসভায়।
সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিব্বল বলেন, এর জন্য আমি আজম খান এবং অখিলেশ যাদবকে ধন্যবাদ দিতে চাই। অখিলেশ বুঝেছে কেন আমি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন আওয়াজে জোর দিচ্ছি। নিরপেক্ষভাবে দাবি তুললে মানুষ বিশ্বাস করবে। তারা বুঝবে এটা কোনও দলের দাবি নয়। ২০২৪ সালে অবশ্যই আমরা মোদীকে হারাতে সফল জোট গড়ে তুলবে।
তবে এই প্রথম নয়, ১৯৯৮ সালে লালু যাদব কপিল সিব্বলকে রাজ্যসভায় যাওয়ার জন্য সমর্থন করেছিলেন। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মামলা লড়ছেন সিব্বল। জি-২৩ দল অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে অন্যতম প্রথম সারির নেতা ছিলেন সিব্বল। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বরাবরই দলের দৈন্য দশা নিয়ে সরব হয়েছে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার সঙ্গে সঙ্গে বারবার সরব হয়েছেন দলকে উপর গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। সেখানে গুলাম নবি আজাদের পাশাপাশি সিব্বলকে সমান গুরুত্ব না দেওয়ার ক্ষোভেই দল ছাড়লেন প্রবীণ নেতা বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
Be the first to comment