ফের ত্রাতার ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই ইনভেস্টর সমস্যা মিটে গেল ইস্টবেঙ্গলে। এবার লাল-হলুদে ইনভেস্টর হিসাবে আসছে ইমামি গ্রুপ। বুধবার নবান্নে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি গ্রপের গাঁটছড়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
বুধবার নবান্নে ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি গ্রুপের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত মমতার মধ্যস্থতাতেই ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করতে রাজি হয়ে যায় ইমামি গ্রুপ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, আজ দু’পক্ষই আমার এখানে চা খেতে এসেছিল। দু’পক্ষই রাজি হয়েছে। যার ফলে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলার যে সমস্যা হচ্ছিল, সেই সমস্যা মিটে যাবে।
এদিকে ইমামি গ্রুপকে ক্লাবে স্বাগত জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। ক্লাবের পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। শুধু ইনভেস্টর নয়, যেভাবে ক্লাবের সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকেন, সেটা বাংলার আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী ভাবেনি। আমি ইমামি গ্রুপকেও ধন্যবাদ জানাব এবং আশা করব আগামী দিনে আমাদের ক্লাব ইমামির সাহায্যে সাফল্য পাবে।
উল্লেখ্য, শ্রী সিমেন্ট সরে যাওয়ার পরে ইনভেস্টর নিয়ে সত্যি সত্যিই বড় সমস্যা চলছিল ইস্টবেঙ্গলে। একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন ক্লাব কর্তারা। বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গেও আলোচনা হয় লাল-হলুদ শীর্ষকর্তাদের। আলোচনা সারতে পদ্মাপাড়েও গিয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু শেষমেশ সেই চুক্তি আর হয়নি। একটা সময় শোনা গিয়েছিল ব্রিটেনের বিখ্যাত ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ইস্টবেঙ্গল ক্লাব অধিগ্রহণে আগ্রহী। খোদ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল আর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছেন। সৌরভ নিজেও সেই জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন।
কিন্তু শেষপর্যন্ত একপ্রকার আকস্মিকভাবেই ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর হিসাবে ইমামির নাম ঘোষণা করে দিল ইস্টবেঙ্গল। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই কাটল ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর জট। বিনিয়োগকারীর সমস্যা মিটে যাওয়ায় এবার জোরকদমে দলগঠনের কাজে নেমে পড়তে পারবেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
Be the first to comment