গুরুংয়ের আমরণ অনশনের মাঝেই জিটিএ ভোটের নির্দেশিকা জারি

Spread the love

দীর্ঘ দশ বছর পর দার্জিলিংয়ে জিটিএ-র ভোট হতে চলেছে। শেষ ভোট হয়েছিল ২০১২ সালের ২৯ জুলাই। ২৬ জুন জিটিএ-র ভোট হবে বলে শুক্রবার সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, পাহাড়ের সমস্ত মানুষ এই ভোটে অংশ নিতে পারবেন। পাহাড়ে উন্নয়নের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে বরদাস্ত করা হবে না। জিটিএর সঙ্গেই ভোট হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদেরও। সেই ভোটও অনেকদিন ধরে বকেয়া ছিল। সরকারি নির্দেশিকা জারির সঙ্গে সঙ্গেই শুক্রবার থেকে ভোটের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। জিটিএর ৪৫টি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের কাজও শুরু হয়েছে। সাতদিন ধরে চলবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া।

জিটিএতে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ১০ হাজার। বুথ প্রায় নয়শো। ২০১৭ সালে জিটিএর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তখন জিটিএর চেয়ারম্যান ছিলেন গো্র্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং। তখনই পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে মোর্চা। তারা ১০৮ দিনের ধর্মঘট ডেকেছিল। সেই সময় ঘটে নানা হিংসাত্মক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকাকালীনই ঝামেলা হয়। তিনি আটকে পড়েন পাহাড়ে। এরই মধ্যে পুলিসের এক সাব ইন্সপেক্টর খুন হন। তাতে নাম জড়ায় বিমলের তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপন করেছিলেন। গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে বিমল আবার প্রকাশ্যে আসেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মা বলে সম্বোধন করেন। গুরুং বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন।

এবার জিটিএ ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই ফের বিমলের খেলা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, গোর্খাল্যান্ড সমস্যার সমাধান না করে জিটিএ ভোট করার কোনও অর্থ হয় না। তাঁর অভিযোগ, ২০১১ সালে জিটিএ চুক্তির সময় রাজ্য সরকার যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার অনেকগুলি এখনও কার্যকর হয়নি। জিটিএ ভোট বাতিলের দাবিতে গুরুং বুধবার থেকে পাহাড়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। মোর্চার আরও দাবি, তরাই এবং ডুয়ার্সের ৩৯৬টি মৌজা জিটিএর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এখন দেখার, রাজ্য সরকার গুরুংকে কেমন করে বাগে আনে।

একই সঙ্গে হতে ২৬ জুন হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনও। এতদিন তা চালানো হচ্ছিল প্রশাসক দিয়ে। ২০১৫ সালের ভোটে মহকুমা পরিষদে জিতেছিল বামেরা। নয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন পেয়েছিল তিনটি আসন। এর মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালে। শিলিগুড়ি পুরসভা এবার বামেদের হাতছাড়া হয়েছে। পুরসভা দখলের পর মহকুমা পরিষদের ভোট শাসকদল তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*