বিধানসভা ভবনের ভিতরেই বিধায়কদের মধ্যে সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি। কেউ কেউ আবার অধ্যক্ষের আসনের কাছে গিয়ে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। খোদ অধ্যক্ষকে নিয়েই স্লফি তুলতে ব্যস্ত অনেক বিধায়করা। বিধায়কদের এহেন আচরণ দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ সতীশ মাহানা। তিনি বিধানসভার চিফ মার্শালকে বিধায়কদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ এরপর থেকে আর কেউ বিধানসভা কক্ষে সেলফি তুলতে পারবেন না। তাঁর এই নির্দেশের পর বিধায়কদের মধ্যে শুরু হয় তোলপাড়।
২৩ মে থেকে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। রাজ্যপাল আনন্দীবেনের ভাষণের পর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না। শুক্রবার সেই বাজেট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা চলাকালীনই প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির বেশ কয়েকজন বিধায়ক মোবাইল নিয়ে সটান অধ্যক্ষের আসনের সামনে চলে আসেন। চলে সেলফি তোলার হিড়িক। একটা সময় অধ্যক্ষ সতীশ মাহানা অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বিধায়কদের ভর্ৎসনাও করেন। কিন্তু তাতেও কোনও হেলদোল দেখা যায়নি বিধায়কদের মধ্যে।
এরপর অধ্যক্ষ চিফ মার্শালকে ডেকে বিধায়কদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এরপর বিধায়কদের মোবাইল ফোন নিয়ে বিধানসভা কক্ষে ঢুকতেই দেওয়া হবে না। এই কড়াকড়ির বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিধায়করা। তাকে আমল না দিয়েই অধ্যক্ষ চিফ মার্শালকে বলেন, বিধায়করা নিয়ম ভাঙলে ফোন বাজেয়াপ্ত বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। তারপর আমি বুঝে নেব।
Be the first to comment