মে মাসের শেষে বাঁকুড়া সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের সফরে জেলায় আসছেন তিনি। ৩১ মে বাঁকুড়া রবীন্দ্র ভবনে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি। ১ জুন কর্মিসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রচুর কর্মী সমর্থকের সমাগম হবে, এমনটা আন্দাজ করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বাঁকুড়ার সতীঘাটে এই সভার আয়োজন করেছে। এই সভা ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
নদীর চরে কেন সভা? প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ও পরিবেশপ্রেমীরা। বেশ কয়েকজন পরিবেশ প্রেমী ও গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বাঁকুড়ায় অনেক বড় বড় মাঠ রয়েছে। সেখানে সভা করা যেতে পারত। কিন্তু নদীগর্ভকে বেছে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মিসভার আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। এই সভার স্থান পরিবর্তনের দাবি তুলেছে পরিবেশপ্রেমীরা।
বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসুন, জেলায় উন্নয়ন হোক, আমরাও চায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এমন জায়গায় সভা করছেন, যা নিয়ে বাঁকুড়ার মানুষ ক্ষুব্ধ। বাঁকুড়ার তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দুসিংহ মহাপাত্র বলেন, নদীগর্ভে নয়, পাড়ে ব্যক্তিগত মালিকানায় সভা হচ্ছে। নদীগর্ভ ঝোপঝাড়ে ভর্তি হয়েছিল, সেগুলি পরিষ্কার করায় নদীর সৌন্দর্য্য বেড়েছে। এতে নদীর কোনও ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে হয় না।
Be the first to comment