শনিবার বিকেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল যাদবপুর এলাকা। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে কার্যত সংঘর্ষ বেঁধে গেল গেরুয়া শিবিরের সমর্থকদের। ‘চোর ধরো জেল ভরো’ কর্মসূচি নিয়ে এদিন সেলিমপুর থেকে সুলেখা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, দফায় দফায় মিছিল আটকায় পুলিশ। বাংলায় বেকারত্ব থেকে এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই পথে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু, দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে রক্ত ঝরল পুলিশের। অভিযোগ, যাদবপুর থানার সামনেই এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাদবপুর থানার ওসিও আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মারধর করে পুলিশকর্মীরা। এমনকী মহিলাদেরও মারধর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল চপ-মুড়ি। প্রতীকী ওই প্রতিবাদ মিছিল থেকে সেই চপ-মুড়ি পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়ারও অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পালটা তিনজন বিজেপি কর্মীর হাত-পা ভেঙে গিয়েছে বলেও অভিযো উঠেছে। বচসা-হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর চত্বর। দীর্ঘক্ষণ যাদবপুর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন অফিস ফেরত যাত্রীরা। বিজেপি কর্মীদের অবরোধের জেরে যাদবপুর স্তব্ধ হয়ে পড়ে বেশ কিছুক্ষণ।
এদিকে, SSC নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে পথে নেমেছিল বামেরাও। তাদের স্লোগানও ছিল ”চোর ধরো, জেল ভরো”। শুক্রবারের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে ওঠে সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর। বর্তমানে SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী সহ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসের দফতরে পৌঁছন। দফায় দফায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।
Be the first to comment