আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবার করা মামলার শুনানি শেষ। ছেলের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করেছিলেন বৃদ্ধ সালেম খান। রাজ্য সরকার ওই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল। কিন্তু সালেম সিটের তদন্তে ভরসা না করে সিবিআই তদন্ত চান। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই মামলার শুনানি শেষ হল। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্য পুলিসের তদন্ত ঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। সিবিআই তদন্তের দরকার নেই। আদালত নির্দেশ দেয়, আনিসের বাবা এবং মায়ের দেওয়া গোপন জবানবন্দি বুধবার রাজ্য সরকারকে আদালতে পেশ করতে হবে। তারপর আদালত চূড়ান্ত রায় দেবে। বুধবারই হাইকোর্ট জানিয়ে দেবে, রায়দান কবে।
এদিন শুনানিতে এজি দাবি করেন, গোপন জবানবন্দিতে আনিসের বাবা এবং মায়ের বয়ানে ফারাক রয়েছে। আদালত জানায়, যে পদ্ধতিতে পুলিস ১৮ ফেব্রুয়ারি আনিসের বাড়িতে অভিযান চালায়, তা ভুল ছিল। এজি আদালতের সেই অভিযোগ মেনে নেন। আদালত বলে, এখন বিচার্য বিষয় হল, রাজ্য পুলিস তদন্ত করবে নাকি অন্য কোনও সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এজি বলেন, প্রাথমিক তদন্তের কাজ শেষ। এই অবস্থায় অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া যায় না। তাঁর আরও দাবি, যে দুই পুলিসকর্মী আনিসের বাড়ি গিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁকে চিনতেন না। কাজেই তাঁকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না। তিনি জানান, পুলিস যে অভিযুক্ত, তা রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছে। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু কেন দেবে, সেটা ভেবে দেখা উচিত।
সালেমের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আদালত পুলিসকে বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু পুলিস সেই বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কার নির্দেশে অভিযান হয, তাঁর নাম পুলিশের রিপোর্টে উল্লেখ নেই। মৃতের বাবার অভিযোগ, পুলিস আনিসকে মেরে প্রমাণ লোপাট করার জন্য ছেলেকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। আনিসের বাবাকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আনিসকেও বহুবার হেনস্তা করা হয়। তিনি বাগনান থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
Be the first to comment