আসছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। ১০ তারিখ থেকে তা শুরু হবে। তার আগে গত অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা-সহ ৭ সাসপেন্ডেড বিজেপি বিধায়কের ভাগ্য নির্ধারণের ভার বিধানসভাকেই দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, বিধানসভার বিধি মেনেই সাসপেনশন মামলার সুরাহা হোক। সোমবার এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিক বিধানসভা। মঙ্গলবার তা আদালতে জানাতে হবে। বাদল অধিবেশন চলবে আগামী এক সপ্তাহ।
গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনে নজিরবিহীনভাবে বিধানসভা কক্ষে একাধিকবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, হাতাহাতিতে জড়ানোর মতো ঘটনার জেরে বিরোধী শিবিরের ৭ জনকে সাসপেন্ড করে দিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অধিবেশনে তাঁদের আর যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। এই তালিকায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার আসন্ন অধিবেশনে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৭ বিধায়ক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি জানান, বিধানসভার বিধি মেনেই এর সমাধান করতে হবে।
এ নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, ”আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে বিধানসভাকে এড়িয়ে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। ওঁদের আগেই বলা হয়েছিল, বিধানসভার কাছে আবেদন করার কথা। আদালতে ঘনঘন যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার।”
বাদল অধিবেশনের সূচি অনুযায়ী, ১০ জুন থেকে অধিবেশন শুরু হচ্ছে, দুপুর ১ টা থেকে। ১৩ জুন পেশ করা হবে প্রথম বিল – ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল। ১৪ জুন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ১৫ জুন ওয়েস্ট বেঙ্গল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পেশ করা হবে। তারপরের দিন ১৬ জুন ওয়েস্ট বেঙ্গল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লজ অ্যামেন্ডমেন্ট দ্বিতীয় বিল (উপাচার্যদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধির বিল) পেশ হওয়ার কথা। ১৭ জুন রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় লজ অ্যামেন্ডমেন্ট দ্বিতীয় বিল। ২ ঘন্টা করে সব বিলের উপর আলোচনা হবে। সকালে প্রশ্নোত্তর পর্ব হবে। তারপর বিল নিয়ে আলোচনা চলবে।
Be the first to comment