জামিন পেলান না রোদ্দুর রায়, সোমবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই বিতর্কিত ইউটিউবার

Spread the love

জামিন পেলেন না রোদ্দূর রায়। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিতর্কিত ইউটিউবারের বিরুদ্ধে জোড়া মামলার শুনানি ছিল। তার একটিতে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোদ্দূরকে। অন্য মামলাটিতে তাঁকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতে রাখতে বলেছে আদালত। ফলে সোমবার পর্যন্ত ইউটিউবার রোদ্দূর পুলিশি হেফাজতেই থাকবেন।

মঙ্গলবার রোদ্দূরের বিরুদ্ধ একটি মামলারই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দেখা যায়, রোদ্দূরের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার শুনানি রয়েছে। সেই মামলাতেও ইউটিউব ভিডিয়োয় অশ্লীলতা প্রচার করারই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল রোদ্দূরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দু’টি আলাদা এজলাসে রোদ্দূরের মামলার শুনানি হয়। প্রথমে দু’টি মামলার নির্দেশ স্থগিত রাখলেও পরে কোর্ট জানিয়ে দেয়, আপাতত পুলিশি হেফাজতেই থাকবেন রোদ্দূর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে করা রোদ্দুরের কূমন্তব্য সংক্রান্ত মামলাটিতে জেল হেফাজত হয় রোদ্দূরের। এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল হেয়ার স্ট্রিট থানায়। যার ভিত্তিতে রোদ্দূরকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করে আনা হয়। পরে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) আদালত রোদ্দূরকে পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশও দেয়। মঙ্গলবারের শুনানিতে রোদ্দূরের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়বে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মামলা ওঠার আগেই আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ১ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে আরও একটি মামলা ওঠে রোদ্দূরের নামে। জানা যায়, এই মামলাটি ইউটিউবারের বিরুদ্ধে বটতলা থানায় দায়ের হয়েছিল দু’বছর আগে। মঙ্গলবারই মামলাটির শুনানি হবে বলে জানায় আদালত।

বটতলা থানায় রোদ্দূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তাঁর করা বেশ কয়েকটি ইউটিউব ভিডিয়ো নিয়ে। অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, রোদ্দূরের ওই ইউটিউব ভিডিয়োগুলি অশ্লীল মনে হয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার ওই মামলায় অবশ্য রোদ্দূর বিচারকের এজলাসে ছিলেন না। আইনজীবী একটি পেন ড্রাইভে রোদ্দূরের ভিডিয়ো সংক্রান্ত তথ্য জমা দেন বিচারকের কাছে। মামলায় পরবর্তী নির্দেশ কিছু ক্ষণ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারক। এর পরে মমতাকে কুমন্তব্য করা নিয়ে মামলাটির শুনানি শুরু হয় সিএমএমের আদালতে। মামলাটির শুনানিতে রোদ্দূর আদালতে হাজির ছিলেন। তবে তাঁকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। কোর্ট রুমে চুপচাপ বসে ছিলেন ইউটিউবার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*