মঙ্গলবার বিধানসভায় পাশ হল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিল ২০২২। সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটর পদে রাজ্যপালের বদলে শিক্ষামন্ত্রীকে বসাতে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় এই সংশোধনী বিল আনা হয়।
দ্য ওয়েষ্ট বেঙ্গল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ল’জ সংশোধনী বিলের উপরে আলোচনার জবাবি ভাষণে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, পুঞ্চ ও সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্যপালকে ভিজিটর পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল একজন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি। রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হস্তক্ষেপের জন্য কমিটি গড়ার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপাল এমন পদক্ষেপ করছেন, যাতে সরকার মামলায় জড়িয়ে পড়ে। ইউজিসির এক্তিয়ারকেও চ্যালেঞ্জ করছেন রাজ্যপাল।এই অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ আটকাতেই আইন করে তাঁকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে বিল নিয়ে আলোচনার মাঝেই বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। ফলে বিরোধী শূন্য বিধানসভাতেই পাশ হয়ে যায় এই বিল।
এদিন আলোচনার শুরুতে বিলের বিরোধিতা করে বিজেপির শান্তনু প্রামাণিক বলেন, এই বিল কার্যকরী হলে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির রং লেগে যাবে। শিক্ষাক্ষেত্রে দলতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিলটি পাশ করানোর আগে তিনি তা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, অম্বিকা রায়, বিশ্বনাথ কারক, তৃণমূলের তরুণ মাইতি, সমীর জানা অংশ নেন।
সোমবারই বিধানসভায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর উদ্দেশেই পাশ করানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধনী বিল। বিজেপির দাবি, দুটি বিলই শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হবে না। কারণ শিক্ষা যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত। সোমবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, এই বিল অত সহজে ছাড়পত্র পাবে না। বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য রাজ্যপালের কাছে দরবার করব। শাসক তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যপালকে বিজেপিই যে চালিত করছে, তা বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে ওই দলের সদস্যরা প্রমাণ করে দিচ্ছেন।
Be the first to comment