হংকংয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগেই সুখবরটা পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয় শিবিরে। টানা দ্বিতীয়বার এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন সুনীল ছেত্রীরা। কিন্তু তাই বলে জয়ের তাগিদটা একেবারেই হারিয়ে যায়নি বরং হংকংকে মাটি ধরিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই এএফসি মূল পর্বে নামাকে পাখির চোখ করেছিলেন সুনীলরা। তারই প্রতিফলন ঘটল মঙ্গল-সন্ধেয়। বৃষ্টিভেজা যুবভারতীতে কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারিকে অনবদ্য একটি ম্যাচ উপহার দিলেন ইগর স্টিমাচের ছেলেরা।
ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে হংকং। কিন্তু তা বলে কোয়ালিফায়ারের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে হালকা ভাবে নিতে প্রথম থেকেই নারাজ ছিলেন স্টিমাচ। আগের ম্যাচগুলিতে শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল তাঁর দল। তবে এবার তিনি ঠিক করেছিলেন একটু ধরে খেলাবেন। যদিও এ ম্যাচে হল একেবারে উলটো। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই কর্নার কিককে কাজে লাগিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আনোয়ার আলি। আর প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে হংকংয়ের তিন ডিফেন্ডারের চোখের সামনে দিয়ে দর্শনীয় গোলটি করেন সুনীল। আর সেই সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায় নয়া রেকর্ড। এদিন দেশের জার্সিতে ৮৪টি গোলের মালিক হয়ে গেলেন ভারত অধিনায়ক।
আর সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন হাঙ্গেরির কিংবদন্তি পুসকাসকে। একই সংখ্যক আন্তর্জাতিক গোল রয়েছে তাঁর। তবে দু’টি গোলেই থেমে যায়নি নীল জার্সিধারীদের সফর। বল পজেশনে অনেকখানি এগিয়ে থেকে বারবার আক্রমণ শানিয়েছেন বিপক্ষের ডেরায়। আর সেই সৌজন্যে শেষ লগ্নে আসে জোড়া সাফল্য।
ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের নিচু ক্রস গিয়ে জমা পড়ে বর্তমানে দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার মনবীর সিংয়ের পায়ে। সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি মনবীর। ইনজুরি টাইমে সফরকারী দলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন ইশান পন্ডিতা। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে যুবভারতীতে ভেসে উঠল বিরাট ব্যানার, যেখানে লেখা ‘এশিয়া উই আর কামিং (এশিয়া আমরা আসছি)।’ ধন্যবাদ জানানো হল সুনীল ছেত্রীকেও। তবে গ্রুপ ডি-র রানার্স হিসেবে মূল পর্বে চলে গেল হংকংও।
Be the first to comment