রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন যে বিজেপি এড়াতে চাইছে সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার সেটাই আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। দিল্লিতে ১৭টি বিরোধী দল যেদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছে, সেদিনই একের পর এক বিরোধী নেতাকে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিন বিরোধীদের বৈঠকের আগেই কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজনাথের ফোন পান। বিরোধীরা কাকে প্রার্থী করছে জানতে চান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কংগ্রেস নেতার দাবি অনুযায়ী, রাজনাথ সিং ফোন করে জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে বিরোধীদের মত জানতে চান। পালটা খাড়গে রাজনাথের কাছে জানতে চেয়েছেন সরকার কাদের কাদের প্রার্থী হিসাবে ভাবছে? রাজনাথ অবশ্য সে বিষয়ে খাড়গেকে জানাতে পারেননি।
সূত্রের দাবি, খাড়গের পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব-সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে ফোন করেছেন রাজনাথ। আসলে সরকারপক্ষ জেনে নিতে চাইছে বিরোধীরা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে কাকে চাইছে। সেইমতো নিজেদের রণকৌশল স্থির করবে তারা। আর শুধু বিরোধী নেতারা নন। রাজনাথের ফোন পেয়েছেন বিজেপির দুই বন্ধু দলের নেতাও। বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারকেও এদিন ফোন করেছিলেন রাজনাথ সিং। তাঁর কাছে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে মত জানতে চান তিনি। বিজেপির সঙ্গে জোটে না থাকলেও সময়-অসময়ে গেরুয়া শিবিরের পাশে দাঁড়িয়েছে ওড়িশার শাসক দল বিজেডি। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এদিন বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়েককেও ফোন করেন।
তবে এদিন বিরোধীদের বৈঠকে কোনও প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি। বিরোধী শিবির সরকারকে নিজেদের পদক্ষেপ সম্পর্কে রাজনাথকে তেমন কিছু জানাননি। পালটা তাঁরা জানতে চেয়েছেন, সরকার কী ভাবছে? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আগ বাড়িয়ে বিজেপি কেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থীর নাম জানতে চাইছে? তাহলে কি তাঁরা নির্বাচন এড়িয়ে যেতে চাইছে?
Be the first to comment