অতি বৃষ্টিতে শিলিগুড়িতে ভাসলো ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোড, তিস্তায় জলস্ফীতি

Spread the love

শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বালাসন নদীর উপর নির্মিত অস্থায়ী ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোড জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল বর্ষার মুখে পাইপ দিয়ে তৈরি ব্রিজটি ভেসে না যায়? আশঙ্কাই প্রমাণিত হল। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে বুধবার রাতে বালাসন নদীর উপর হিউম পাইপ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ব্রিজটির অ্যাপ্রোচ রোড জলের তোড়ে অনেকটাই ভেসে যায়। যার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যানবাহন চলাচল। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং তারপরেই গাড়িগুলোকে পুনরায় মেডিকেল কলেজের দিক দিয়ে ঘুরিয়ে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

পাহাড় ও ডুয়ার্সে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে ধ্বসে গেল কালভার্টের অ্যাপ্রচ রোড। জলপাইগুড়ির গয়েরকাটার প্রধান পাড়া নবকান্ত স্কুলের সামনে কাশিয়াঝোরার উপরের এই কালভার্টের একাংশ ভেঙে রীতিমতো ঝুলছে। সাইকেল মোটর সাইকেল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে এই কালভার্ট পার করাই এখন বিপদজনক।

গত দুইদিনের লাগাতার বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীর। নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় সেচ দফতরের পক্ষ থেকে দোমোহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বর্ষার শুরুতেই তিস্তায় জল বাড়ায় চিন্তিত জেলা পুলিস। জল বেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে নিয়ে বুধবার বেশি রাতে তিস্তা নদী পরিদর্শনে যান জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত।

এবছর এখনও পর্যন্ত অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে তিস্তার জলের মাত্রাও ব্যাপক হারে বেড়েছে। এখন আগামী তিন দিন উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি নদীবাঁধগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুলিস সুপার।

অন্যদিকে, ১৪ জুন থেকে ডুয়ার্সে শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে নাজেহাল ডুয়ার্সের মানুষ। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকালের ছবিটাও ঠিক একই রকম। ডুয়ার্সের গয়েরকাটা হিন্দুপাড়া এলাকায় বৃষ্টির জমা জলে চরম দুর্দশায় সাধারণ মানুষের। এলাকার বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে গভীর রাত থেকে ঘরে ঢুকতে শুরু করেছে বৃষ্টির জল। খাবার ঘর, রান্নাঘরে প্রায় একহাঁটু জল জমে গিয়েছে। জল ঢুকে যাওয়ায় রান্না বন্ধ। বাড়ির শিশুদের নিয়ে না খেয়ে রয়েছেন তাঁরা। ৫০ টিরও বেশি পরিবার এই জল যন্ত্রণার শিকার।

এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ চা বাগানের শ্রমিক। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কোনও নিকাশির ব্যবস্থা না থাকায় চা বাগানের জল এই এলাকায় ঢুকে আটকে যাচ্ছে। যায় জেরে এই চরম ভোগান্তি। সেই সঙ্গে এই এলাকায় কোনও পঞ্চায়েত সদস্য নেই। তবে ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*