সেনাবাহিনীতে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্রমেই তপ্ত হচ্ছে বিহার। সকাল থেকেই একাধিক রেল স্টেশন অবরোধ করে বেশ কয়েকটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শামিল যুবকরা। চম্পারণে তাঁর বাড়ির সামনে পাথর বৃষ্টি চলে।
বিহারের প্রতিটি জেলাতেই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। একাধিক ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিভিন্ন বিক্ষোভস্থলে পুলিস বাহিনী থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তিনদিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভে নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। অথচ এখনও কেন্দ্রীয় সরকার হাতগুটিয়ে বসে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।
দেশজুড়ে বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে প্রায় ২০০টি ট্রেন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ৩৫টি ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। ১৩টি ট্রেনকে গন্তব্যস্থলের আগেই থামিয়ে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সারা দেশে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তিনদিন ধরে এই তাণ্ডব চলার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার নীরব কেন?
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে দক্ষিণী রাজ্যেও। এদিন সকালে তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে আগুন লাগানো হয় একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে। সেকেন্দ্রাবাদ রেল স্টেশনে বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছু ট্রেন বাতিলও করা হয়েছে। হরিয়ানাতেও এদিন বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে। রেল-সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিসের সামনেই বহু ট্রেন থেকে যাত্রীদের মারধর করে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
এদিন বিহারের মহিউদ্দিননগর স্টেশনে হাজিপর-বরাউনি লাইনে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসের দু’টি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সমস্তিপুরে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসেও বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা সেই ট্রেনের ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বিক্ষোভ স্থলগুলিতে। রেল, বাস, জাতীয় সড়ক অবরোধের জন্য বিপর্যস্ত জনজীবন।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলাতেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বালিয়া রেল স্টেশনে একটি ট্রেনে আগুল লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। সেখানেও চলছে তুমুল বিক্ষোভ।
Be the first to comment