২১ জুলাই সফল করতে শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে বসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন বিকেলে এই বৈঠকটি হবে তৃণমূল ভবনে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের ১৩৫ জন প্রতিনিধি।
প্রতিবছর শহিদ স্মরণে ধর্মতলায় এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই জনসভার প্রধান বক্তা হিসেবে থাকেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারই মমতা এখানে দলীয় নেতানেত্রী থেকে কর্মীদের আগামী দিনের পথদিশা বাতলে দেন। সেই মতোই দল চলে। এমনকী প্রতিবারই এই জনসভায় অনেক নতুন মুখ দেখা যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বছরও সেইরকম চমক থাকবে।
বিশেষত এই সভার আগেই রয়েছে রাষ্ট্রপতি ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যে নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করতে মাঠে নেমেছেন স্বয়ং দলনেত্রী। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই ১৭টি দলকে এক টেবিলে বসাতে সফল হয়েছেন তিনি। এই বৈঠককে কেন্দ্র করে রাজধানীর রাজনীতিতে নতুন করে বিরোধীরা জোয়ার তুলেছে। ১৭টি অ-বিজেপি দলই অভিন্ন প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে সহমতে পৌঁছেছে। একাজে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সাফল্য এলে, মমতাই বিজয়িনী হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসবেন। ফলে রাষ্ট্রপতি ভোটে মমতা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তারও সার্থক রূপ ধরা পড়তে চলেছে এবারের ২১ জুলাইয়ের সভায়। সেদিক থেকে এবারের সভার গুরুত্ব অনেক বেশি।
সেকথা মাথায় রেখেই প্রায় এক মাস আগে থেকে সভাকে জনবন্যায় ভাসিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আগে এই সভার সবকিছু দেখভাল করতেন মমতা নিজে। এখন তাঁর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে সেই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। তাই এদিন দলীয় নেতৃত্বকে বৈঠকে বসতে চলেছেন অভিষেক। সেখানেই জনসভার মঞ্চ, লোকজন কোন পথে আসবেন, সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা এসব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। আলোচনার পর তৃণমূল নেত্রীকে সবিস্তারে বৈঠকের সারমর্ম বুঝিয়ে দেওয়া হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই দলনেত্রী নিজে ঠিক করবেন।
Be the first to comment