রাজনীতি রাজনীতির স্থানে। তবে সৌজন্যবোধ এতটুকু কমেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। প্রতি বছরের মতো এবারও তাই বাংলার বিখ্যাত আম প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। সেই সঙ্গে আমরসিকদের জন্য রাজধানী দিল্লিতে শুরু হল ‘আম মেলা’। যার পোশাকি নাম বেঙ্গল ম্যাঙ্গো মেলা।
বাংলার সুস্বাদু আম প্রতি বছরই পৌঁছে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। শুধু দেশেই নয়, ভারতের বাইরেও আম রপ্তানিতে অনেকটাই এগিয়ে বাংলা। এ রাজ্যের আম রস থেকে বঞ্চিত হন না প্রধানমন্ত্রীও। বিগত বছরগুলির মতো এবারও রাজ্য সরকারের তরফে মোদির কাছে পৌঁছে দেওয়া হল আম। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী-সহ মোট ২০০ জনের কাছে আম পাঠানো হচ্ছে। হিমসাগর, ল্যাংরা, অম্রপল্লী এবং লক্ষ্মণভোগ- এই চার রকমের আম যাচ্ছে তাঁদের কাছে।
করোনা আবহে গত দু’বছর দিল্লিতে আম মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার ফের আমের পসার সেজেছে। হিমসাগর, ল্যাংরা ইত্যাদি ছাড়াও মুর্শিদাবাদ থেকে নবাব সিরাজউদুল্লাহর প্রিয় কোহিতুর আমও এসেছে এই মেলায়। এই প্রজাতির এক কেজি আমের দাম ১২০০ টাকা! অনেক সময় একটি আম বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকাতেও।
দিল্লিতে এমনিতেই আমের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। মধ্যবিত্তের নালাগের বাইরেও। তাছাড়া সব জায়গায় বিশেষ বিক্রিও হয় না। কিন্তু আমের মরশুমে ফলের রাজার স্বাদ থেকে কি বঞ্চিত রাখা যায় বাঙালিকে? তাঁদের কথা ভেবেই প্রতিবার আমের মেলা আয়োজিত হয়ে থাকে। দু’বছর পর ফের স্বমহিমায় সেই মেলাকে ফিরে পেয়ে খুশি আমজনতাও। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে মেলা। আম বিক্রির পাশাপাশি প্রত্যেক শনিবার হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
Be the first to comment