শিলিগুড়ি পুরো নিগমের পর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ জয়ের জন্য মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসলেও শিলিগুড়ি পুর নিগমের ছিল তৃণমূলের কাছে অধরা। দীর্ঘকাল ধরে শিলিগুড়ি পুর নিগমের দখলে ছিল বামেরা। আগামী ২৬ জুন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন। এবার অধিকাংশ আসনেই বামেরা প্রার্থী দিতে পারেনি। বিজেপি বা কংগ্রেসেরও একই অবস্থা। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের বাড়তি সুবিধা রয়েছে।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে পৌঁছেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত শিলিগুড়িতেই থাকবেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের এই নেতাকে সামনে পেয়ে অনেকটাই চনমনে শিলিগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরেই শিলিগুড়ি পুর নিগমের জয় এসেছিল। তাই আবারও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে তিনিই দলের তুরুপের তাস বলে মনে করছেন অনেকে।
অবশেষে ২০২২ সালে শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচনে সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৭টি আসন জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদও তৃণমূলের কাছে এখনও অধরা। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ৯টি আসন, ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬৬টি আসন এবং ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৬২টি আসনে এবার প্রতিদ্বন্তিতা হবে। মুলত গতবারে বামেদের দখলে থাকা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ৯টি আসনের মধ্যে ৬টি ছিল বামেদের ও ৩টি ছিল তৃণমূলের দখলে। ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিই দখলে ছিল বামেদের।
এছাড়া অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতও ছিল বামেদের দখলে। যদিও পরে অনাস্থার মাধ্যমে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশই দখল করলেও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ বামেদের দখলেই ছিল।
Be the first to comment