প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে অপসারণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এবার মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এখনই মানিক ভট্টাচার্যকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। আগামীকাল দুপুর ২টোর মধ্যে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের।
নতুন সভাপতি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পর্ষদ সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন সচিব। নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। পর্ষদের পেশ করা নথি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাতে বলল হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, সভাপতির পদে নতুন কারও নাম সুপারিশ করতে পারে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, ‘হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও একাধিক তথ্য না পাওয়ায় দায়ী মানিক ভট্টাচার্য। আদালতের কাছে যে নথি পেশ করা হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আদালতের নির্দেশ যথাযথ পালন করা হয়নি।’ এর আগে ১৩ জুন মানিক ভট্টাচার্যকে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক তৃণমূল বিধায়ককে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছিল। ২০১৪’র প্রাথমিক টেট মামলায় সোমবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে। সেই মতো বিকেলে নির্ধারিত সময়ের আগে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন দু’জনে।
অভিযোগ, ২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এই দু’জনের থেকে তদন্তকারীরা জানতে চান, কার নির্দেশে ২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল? শুধু ২৬৯ জনকেই কেন ১ নম্বর করে বাড়ানো হল ? নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিল ? সরকারি ফাইলে তার কোনও তথ্য আছে কি না।
Be the first to comment