আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিশ খানের মৃত্যুর মামলায় সিটের তদন্তের উপরই আস্থা রাখলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বিশেষ তদন্তকারী দল এই মৃত্যুর তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই-এর হাতে এই মামলা হস্তান্তরের প্রশ্ন নেই।
যদিও মামলার শুনানিতে বার বার পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনিশ খানের বাবার আইনজীবীরা। সেই কারণে নিরপেক্ষ কোনও সংস্থার তদন্তের আর্জি জানানো হয়। কিন্তু বিচারপতি রাজশেখর মান্থা তাঁর নির্দেশে বলেন, সব পক্ষের দেওয়া সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখার পর আদালতের মনে হয়েছে সিট ঠিকঠাক তদন্তই করছে। সিট তদন্ত করে চার্জশিট দেবে আদালতে।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রনেতা আনিশ খানের বাড়িতে হানা দেয় আমতা থানার পুলিশ। মূলত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সে দিন রাতে আনিশ খানের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তারপরই বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় আনিশ খানের। কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন এই যুব ছাত্রনেতা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, পুলিশের সামনে আনিশ খানের মৃত্যু হলেও পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে পালিয়েছিল। পাশাপাশি আনিশ খানকে পুলিশ পেছন থেকে ঠেলে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও রাজ্যের তরফে সমস্তটাই অস্বীকার করা হয়।
অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে উল্লেখ করেছেন, “পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্ট দেখিয়েছি আমরা। দিল্লির ফরেনসিক দল পলিগ্রাফ টেস্ট করেছিল। ঠেলে ফেলা হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব এখানে কোনও ভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব নয়। পুলিশের যোগ প্রমাণিত নয়। ফলে পুলিশের তদন্তের প্রতি আস্থা রাখা জরুরি। পাশাপাশি আনিশ খানের বাবা সালেম খান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন, সেখানে কোথাও তাঁর ছেলের মৃত্যুতে ষড়যন্ত্র বা খুনের কথা উল্লেখ করেননি। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা দীর্ঘদিন এই মামলার শুনানি করার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন।
Be the first to comment