আচার্য বিলে কি স্বাক্ষর করবেন? প্রথমবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল

Spread the love

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে অপসারণ করতে বিল এনেছে রাজ্য সরকার। এবার আচার্য পদে রাজ্যপালের পদ বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিলগুলি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার রাজভবনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল জানালেন, নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি খুব মন দিয়ে বিলগুলো দেখব। পক্ষপাতিত্ব করব না। গ্রহণযোগ্য হলে গ্রহণ করব। নাহলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলব।

মঙ্গলবার বিধানসভায় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বদলের বিল পাশ হয়। প্রতিবাদে বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা রাজভবনে অভিযোগ জানান। তাঁদের পাশে নিয়ে রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ধনকড়। একদিকে যেমন পয়গম্বর বিতর্ক কিংবা অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে রাজ্যে চলতে থাকা অশান্তি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তেমনই আবার আচার্য বিলের ভবিষ্যত নিয়ে মুখ খুলেছেন।

হিংসা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল বলেন,”হিংসা সমস্যার সমাধান করতে পারে না। গণতন্ত্রে হিংসা জায়গা নেই।” টেনে আনেন ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও। রাজ্যকে বিঁধে ধনকড়ের তোপ, “আমাদের রাজ্যে ভোটের পরে হিংসা হয়। সরকার ব্যবস্থা নেয় না। পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কীকরে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়? পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র তলানিতে ঠেকেছে।” সরব হন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও। ঝনকড়ের কথায়, “লক্ষ-লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি নিয়ে ছেলেখেলা হয়েছে। উঁচুস্তর পর্যন্ত দুর্নীতিতে জড়িত। যুব সম্প্রদায়কে চাকরি না দিয়ে দেওয়া হয়েছে যারা পরীক্ষায় বসেনি।”

এর পরই ধনকড়ের দাবি, নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। বলছে, রাজ্যপালকে সরাতে হবে। কে আচার্য হবে প্রশ্ন উঠেছে। মনে করিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষা যুগ্ম তালিকায় রয়েছে। আচার্য বিল নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, আমি খুব মন দিয়ে বিলগুলো দেখব। পক্ষপাতিত্ব করব না। যদি গ্রহণযোগ্য হয়, গ্রহণ করব। যদি তা না হয়, আমি সরকারের সঙ্গে কথা বলব। গণতন্ত্রকে জলাঞ্জলি দেব না। তাঁর কথায়, জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ না করা মানে শিক্ষার ভবিষ্যত নষ্ট করা।

এরপরই রাজ্যের উদ্দেশ্য রাজ্যপাল বলেন, আমি সরকারের বন্ধু হতে চাই, একটাই শর্ত, গণতন্ত্রের পথে চলতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমি নই, মুখ্যমন্ত্রীও নন। উল্লেখ্য, এদিকে নিয়ম মেনে বিল পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তিনি যে সেখানে স্বাক্ষর করবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে বিল ফের বিধানসভায় ফেরত আসতে পারে। তার পর তা আরও একবার রাজ্যপালের কাছেই যাবে। যেহেতু শিক্ষা সংবিধানের যুগ্মতালিকায় রয়েছে, তাই বিলটি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*