ব্ল্যাকবোর্ড নয়, ব্ল্যাকমানি নিয়েছেন! শুভেন্দুকে পালটা খোঁচা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

Spread the love

 শিক্ষা দপ্তর থেকে একটা ব্ল্যাকবোর্ডও নেননি বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার তাঁকে কড়া জবাব দিলেন তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ব্ল্যাকবোর্ড তো শিক্ষার জিনিস। তা নেবেন কেন? শুভেন্দু অধিকারী তো ব্ল্যাকমানি নিয়েছেন।”

নিজের ঘনিষ্ঠদের অনেককে চাকরি দিয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে ‘দাদামণি’ বলে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সোমবার অধিবেশন কক্ষেই বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “আমরা জানি মেদিনীপুরে চাকরি নিয়ে কী হয়েছে। ছেলেগুলোর চাকরি চলে গেল, আপনি যাদের চাকরি দিয়েছেন তাঁদের কী হবে? এটা ত্রিপুরা নয়। মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়ার যাদের চাকরি দিয়েছেন তাদের কী হবে? পুরুলিয়ার চাকরি মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমরা সব জানি। ‘দাদামণি’ জবাব দেবেন? সরকারে থেকেও করে খাবেন! বিজেপিতেও করে খাবেন?”

তারই জবাবে শুভেন্দু পালটা বলেছিলেন, একটা চাকরি তো দূর, একটা ব্ল্যাকবোর্ডও তিনি নেননি। তারই প্রত্যুত্তর এদিন ‘ব্ল্যাকমানি’ দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। শুভেন্দু আরও বলেছিলেন, তিনি ছিলেন বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন। এর জবাব দিতে গিয়ে গোটা অধিকারী পরিবারকে এদিন টেনে আনেন পার্থবাবু। বলে দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে নন্দীগ্রামের আন্দোলন হত না। আর অধিকারী পরিবার এই অধিকারও পেত না। যোগানদার অধিকারী হয়ে থাকতে হত।”

এ প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের কথাও তোলেন পরিষদীয় মন্ত্রী। বলেন, “মনে রাখতে হবে সিঙ্গুরের আন্দোলন তখন শুরু হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষও তাই নেত্রীকে চেয়েছিল। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন। নন্দীগ্রামের আন্দোলনও হয়েছিল।” পার্থবাবুর এই জবাব শুনে তাঁকে শুভেন্দু অধাকিরী আবার মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। সঙ্গে ফের নিজের পুরনো কথা টেনেই বলেন, ২০০১ সালে তৃণমূল কোথাও সভা করার জায়গা না পেলে তিনিই মেদিনীপুরে তার ব্যবস্থা করে দিতেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*