রাষ্ট্রপতি পদে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি তথা এনডিএ জোট। রাইসিনার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুকে। মঙ্গলবার বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই প্রথম আদিবাসী সমাজের কোনও প্রতিনিধিকে দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ পদের জন্য বেছে নেওয়া হল। দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশা তথা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে পুরনো মুখ হলেও ততখানিও পরিচিত নন। কে দ্রৌপদী মুর্মু?
১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্ম দ্রৌপদী মুর্মুর। অর্থাৎ জন্মদিনের একদিন পরে পেলেন সুসংবাদ। বছর চৌষট্টির দ্রৌপদীর রাজনৈতিক জীবন আড়াই দশকের। বিভিন্ন সময়ে নানা দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে প্রথমবার কাউন্সিলর হন। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পান। ওই রাইরংপুর থেকেই ২০০০ ও ২০০৪ সালে বিজেপি বিধায়ক হন। দলে একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করেছেন। ওড়িশার আদিবাসী মুখ হিসেবে তাঁকে তুলে ধরে গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রে ২০০২ থেকে ২০০৯ অবধি বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ অবধি ওড়িশা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রী। ২০১০ সালে ময়ূরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা সভাপতিও হন দ্রৌপদী। রাজ্যপালের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মু ২০১৫ থেকে ২০২১ অবধি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন।
এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মহিলা ‘মুখ’কে সামনে রেখেই এগোতে চাইছিল বিজেপি। রাইসিনা হিলসের দৌড়ে তাই অন্তত জনা তিনেক মহিলা ছিলেন। তামিলসাই সৌন্দরাজন, আনন্দীবেন প্যাটেল এবং দ্রৌপদী মুর্মু। এই তিন মহিলার নাম নিয়েই মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শেষ পর্যন্ত দ্রৌপদীকেই সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নেওয়া হয়।
গতকালই টুইট করে এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেখেন, ”সমাজসেবা এবং গরিবদের ক্ষমতায়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মুর্মু। তাছাড়া প্রশাসন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক। আমি নিশ্চিত উনি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করবেন।”
Be the first to comment