অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে? শেষমেশ কি ইস্তফা দিতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে? বুধবার সকাল থেকে গোটা দেশের সামনে এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিয়েছেন, কী আর হতে পারে! খুব বেশি হলে বিধানসভা ভেঙে যাবে। তাঁর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পরই সরকার পক্ষ এবং বিজেপি শিবিরের পাঞ্জা লড়াইয়ের কুয়াশার জট খুলতে শুরু করে।
সকালেই এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসে দলীয় নেতৃত্ব। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, দুপুরে দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরেও। তারপরই তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন। সেখানে এই গোটা চক্রান্তের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে শেষপর্যন্ত ইস্তফা ঘোষণা করার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে আরব সাগরের তীরে। কংগ্রেস এই সমস্যা মেটাতে কমলনাথকে আসরে নামিয়েছিল। এদিন তিনি দাবি করেছেন, কংগ্রেস এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ আছে। কংগ্রেস বিধায়কদের কেনা যায় না।
যদিও একনাথের দাবি অনুযায়ী, তাঁর সঙ্গে এখন ৪০ জনের বেশি বিধায়ক রয়েছেন। কারা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করে তাঁদের সই সংগ্রহ করেও রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে তোড়জোড় যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে উদ্ধব ইস্তফা না-দিলেও বিধানসভায় অনাস্থার মুখে পড়তে পারেন। আর ইস্তফা দিলেই তড়িঘড়ি বিদ্রোহীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে জানিয়ে সরকারের গঠনের দাবি করতে পারে। যদিও মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কোভিড-পরবর্তী অসুস্থতার কারণে আপাতত হাসপাতালে রয়েছেন। সব মিলিয়ে মহা-বিদ্রোহের ফলে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা কবে কাটবে তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। এই পরিস্থিতিতেই গুজরাতের সুরাত থেকে গুয়াহাটি, সেখান থেকে এদিনই মুম্বই ফিরছেন বিদ্রোহী একনাথ শিণ্ড সহ তাঁর অনুগতরা।
Be the first to comment