দু’জনের মাঝে আগেই চলে এসেছিলেন তৃতীয় ব্যক্তি। তার ফলে দাম্পত্যে ফাটল ধরেছে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তথা বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্নার অশান্তির জল গড়িয়েছে আদালতেও। আইনি বিচ্ছেদ হয়নি এখনও। তবে আপাতত দু’জনের পথই আলাদা। শোনা যাচ্ছে, বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে ফিরতে পারেন শোভন। প্রত্যাবর্তনের জল্পনার মাঝে এ বিষয়ে মুখ খুললেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
এক সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে দলে তাঁর স্ত্রী রত্না রয়েছেন সেখানে আর ফিরবেন না। সেই দলেরই সুপ্রিমোর সঙ্গে বুধবার নবান্নে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেছেন শোভন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবীও। বৈশাখী সাফ জানিয়েছেন, এই বৈঠকে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। আর তাতেই শোভনের ঘরওয়াপসির জল্পনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি শোভন চট্টোপাধ্যায় কিংবা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলে ফেরান, তাতে কোনও আপত্তি নেই বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়কের। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের কথা মেনে চলি। যদি মনে করেন ফেরাবেন তো অবশ্যই নেবেন। আমাকেও মেনে নিতে হবে।”
প্রত্যাবর্তনের জল্পনাকে একপ্রকার নিজের জয় হিসাবেই দেখছেন রত্না। তিনি বলেন, “রত্না চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে কোথাও যাবে না। তাঁদের তৃণমূল করতে হলে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে মেনে নিয়েই করতে হবে। তাই তেতো গেলার মতো করে ফের তৃণমূল করতে আসছেন শোভন। আমার মনে হয় এটা আমার জন্য ভাল। মাথা নত করে আসতে হচ্ছে ওঁদের। এটা আমার জয়।” ফের এক দলে হয়তো কাজ করতে হতে পারে দু’জনকে, তবে সম্পর্কের জটিলতা আর দূর হওয়া সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানিয়েছেন শোভন ঘরনি।
বিজেপিতে থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সৎ মা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বৈশাখী। সে প্রসঙ্গে পালটা জবাবে শোভনের বান্ধবীকে গিরিগিটি বলে তোপ দেগে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “গিরিগিটি রং পালটায় আমরা জানি। রং বদল কীভাবে হয় দেখার জন্য অনেকে তাকিয়ে থাকে। ঠিক তেমনই এরা পারিবারিক সম্পর্কও ঠিক রাখতে পারেননি। রাজনীতি করতে এসেও সম্পর্ক গুলিয়ে ফেলেছেন। ওনার কথার উত্তর কম দেওয়াই ভাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনকে দলে আসতে বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে বেশি কথা বলা উচিত নয়।” বান্ধবী বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে কানন ঘাসফুলে ফেরেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।
Be the first to comment