রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পিছিয়ে, তাই মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙতে উদ্যোগী বিজেপি, অভিযোগ মমতার

Spread the love

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি মহারাষ্ট্রে এক লক্ষ ভোটে পিছিয়ে আছে। তাই সরকার ভাঙার ষড়যন্ত্রে নেমেছে ওরা। এমনটাই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, অসমে লাখ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। অসমের বিজেপি সরকারের সেদিকে কোনও নজর নেই। মহারাষ্ট্রের বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় নেমেছেন খোদ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মমতার আরও অভিযোগ, বিজেপি গণতন্ত্রকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, সেই চেষ্টা সফল হবে না।

নবান্নে এদিন মমতা বলেন, কথায় কথায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার ইডি-সিবিআইকে লেলিয়ে দিচ্ছে। এই যে বিধায়ক কেনাবেচা হচ্ছে, তার পিছনেও আর্থিক লেনদেন রয়েছে। এখন ইডি-সিবিআই কোথায়? তাদের তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কেন ইডি-সিবিআইকে তদন্ত করতে বলা হবে না? কাকতালীয় ঘটনা হল, এদিনই কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর জন্য দিল্লি থেকে অফিসাররা কলকাতায় এসেছেন।

মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের গুয়াহাটির এক পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে তোলা হয়েছে। বিক্ষুব্ধদের নেতা একনাথ শিন্ডের দাবি, শিবসেনাকে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে হবে। একনাথের আরও দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়ক রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। গুয়াহাটির ওই হোটেলে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের দেখভালের মূল দায়িত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন সদস্যকেও দিনরাত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে ওই বিধায়কদের দেখাশোনার জন্য।

এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে এখন বন্যা হচ্ছে। সরকারের উচিত সেদিকে নজর দেওয়া। এই বন্যা পরিস্থিতিতে অসম সরকার মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের দিকে নজর দেবে কী করে। তাঁর কটাক্ষ, বরং ওই বিধায়কদের আমাদের রাজ্যে পাঠিয়ে দিক বিজেপি। আমরা ওদের ভালো রকমের আতিথেয়তা করব।

এদিকে অসম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্যায়। কয়েক লাখ মানুষ চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, অসম সরকার ওই বন্যাদুর্গত মানুষদের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের নিয়ে ব্যস্ত। এর প্রতিবাদেই এদিন রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি রিপুন ভোরার নেতৃত্বে ওই হোটেলের সামনে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। পুলিসের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধস্তাধস্তিও হয়। পরে পুলিস তাদের সরিয়ে দেয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইটে বিষয়টি নিয়ে অসম সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*