উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠার অভিযোগ তুললেন একনাথ শিন্ডে ৷ শনিবার টুইট করে বিদ্রোহী ওই শিবসেনা নেতা জানান, ২০১৯ সালে বিধানসভা ভোটে জেতার পর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারি নিরাপত্তা তাদের দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকার নিয়মবহির্ভূতভাবে ৩৮ জন বিধায়কের বাসভবন থেকে নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে ৷ এটা করে উদ্ধব ঠাকরে বিদ্রোহীদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেন শিন্ডে ৷
এদিকে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে শিবসেনা কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ শনিবার সকালে পুণেতে বিধায়ক তানাজি সাওয়ান্তের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে শিব সৈনিকরা ৷ তানাজি এই মুহূর্তে রয়েছেন অসমে৷ একনাথ শিন্ডে তাঁর টুইটে হিংসার দায় মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের ঘাড়েই চাপিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার আমাদের পরিবার বা আত্মীয়দের নিরাপত্তা তুলে দেয়নি ৷ মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের কয়েকজন নেতারা হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন৷ মিডিয়ার সামনে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হুমকি দিয়ে সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের এখানে থাকা মুশকিল করে দেবেন৷ ওই মন্তব্যের পরই রাজ্য সরকার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় ৷ তার কয়েকঘণ্টার মধ্যে দুই বিধায়কের অফিসে ভাঙচুর করেন শিব সেনার কর্মীরা ৷
এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরার দাবি তুলে একগুচ্ছ বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটি চলে গিয়েছেন একনাথ শিন্ডে ৷ তাঁর নেতৃত্বে দলীয় বিধায়করা বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়েন উদ্ধব ঠাকরে ৷ এই পরিস্থিতিতে দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে এদিন দুপুর শিবসেনার কার্যালয়ে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন উদ্ধব ৷ নেতাদের পাশে পেতে শুক্রবার সমস্ত জেলার সভাপতিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি৷ সেখানে উদ্ধব জানান, বিদ্রোহী বিধায়করা দলকে ভাঙতে চাইছে৷ যাঁরা দল থেকে বেরিয়ে যেতে চান তাঁরা স্বাধীনভাবে বেরিয়ে যেতে পারেন৷ তিনি আবার নতুন করে শিবসেনা তৈরি করবেন৷
Be the first to comment