প্রতীক্ষার অবসান। উদ্বোধন হয়ে গেল বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উদ্বোধন হল পদ্ম সেতুর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্টজন। সাত বছরের বেশি সময়ের টানাপড়েন শেষে শেখ হাসিনার স্বপ্ন সফল হল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বহু বাধা পেরিয়ে এই সেতু তৈরি হয়েছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত। এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ। বাংলাদেশের মানুষকে কথা দিয়েছিলাম পদ্মা সেতু তৈরি করব। বাংলাদেশের মানুষ আমার উপর ভরসা রেখেছে। গতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সেতু তৈরি হয়েছে। এই সেতুর ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি। বিশ্বের কাছে এই সেতু দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে। বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচবে। আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই সেতু সাহায্য করবে। এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের ২১টি জেলার মানুষের সুবিধা হবে। তাই কবি সুকান্তর ভাষায় বলি, সাবাশ বাংলাদেশ।
প্রায় সাড়ে ছয় কিলেমিটার দীর্ঘ সেতু নদীর কাছাকাছি হলেও রেল ব্রিজ থেকে জলের দূরত্ব থাকবে অন্তত ১৮ মিটারের। এটি আসলে দোতলা সেতু। এর একতলায় অর্থাৎ নদীর কাছাকাছি চলবে ট্রেন। সামান্য উপরে চার লেনের চওড়া রাস্তায় চলবে সব রকম গাড়ি। এর ফলে কলকাতা-ঢাকার দুরত্ব কমবে ১৫০ কিলোমিটার। সাড়ে ৬ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে ঢাকায়। প্রায় ১০ হাজার কোটি বাংলাদেশি মুদ্রা খরচ করে তৈরি হওয়া এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি)কে এক ধাক্কায় ১.২ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারবে বলে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তবে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, ২৫শে পদ্মা সেতুর সড়ক পথ খুলে দিলেও রেলব্রিজটি শেষ হতে আরও ক’দিন সময় লাগবে।
Be the first to comment