মহারাষ্ট্রে সরকার বাঁচাতে আসরে উদ্ধবের স্ত্রীও! ভাঙনের আশঙ্কায় কাঁটা বিক্ষুব্ধ শিবিরও

Spread the love

রবিবারও মহারাষ্ট্রের মহানাটক অব্যাহত। একদিকে গুয়াহাটিতে যেমন তৎপরতা চলছে, অন্যদিকে সরকার বাঁচাতে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে উদ্ধব শিবির। প্রায় গোটা ঠাকরে পরিবারই আসরে নেমে পড়েছে। অসুস্থতার মধ্যেই দিনরাত বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। রাস্তায় নেমে সমর্থকদের তাতাচ্ছেন আদিত্য ঠাকরে। পিছিয়ে নেই উদ্ধব-পত্নী রশ্মি ঠাকরেও। তিনিও নিজের মতো করে কথা বলছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের স্ত্রীদের সঙ্গে।

শোনা যাচ্ছে, উদ্ধব পত্নী রশ্মী নাকি ইতিমধ্যেই বিক্ষুব্ধ শিবিরের বেশ কয়েকজন বিধায়কের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন বুঝিয়ে শুনিয়ে বিক্ষুব্ধদের ফিরিয়ে আনেন। তাঁদের সব ক্ষোভ মেটানোর আশ্বাসও দিচ্ছেন। মজার কথা হল রশ্মি আসরে নামার পর বিক্ষুব্ধ শিবিরে খানিকটা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, একনাথ শিণ্ডের সঙ্গে যারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্তত জনা কুড়ি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁদের। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবও নাকি একাধিক বিধায়কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

সতর্ক হয়ে গিয়েছে শিণ্ডে শিবিরও। সূত্রের দাবি, তাঁরা এখনই মুম্বই ফেরার কথা ভাবছে না। আরও অন্তত সপ্তাহখানেক গুয়াহাটিতেই থেকে যেতে চান তাঁরা। একনাথ শিণ্ডের আশঙ্কা, মুম্বই ফিরে গেলে একাধিক বিধায়ক আবার শিবির বদলে উদ্ধব শিবিরে নাম লেখাতে পারেন। সেজন্য গুয়াহাটির হোটেলেও সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। বিধায়কদের বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেখা হচ্ছে না। সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন একনাথ শিণ্ডে। সূত্রের দাবি, এক্ষেত্রেও তাঁরা কেন্দ্রকে পাশে পেতে পারেন। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পারে কেন্দ্র। যদিও সেটা এখনও চুড়ান্ত নয়।

এদিকে যত সময় যাচ্ছে উদ্ধব শিবিরের আত্মবিশ্বাস তত বাড়ছে। আদিত্য ঠাকরে একদিন আগেই বলেছিলেন, বিধায়করা চলে যাওয়াতে তাঁদের নাকি ভালই হয়েছে। এই বেইমানি মনে রাখা হবে। এদিন সঞ্জয় রাউত আবার দাবি করেছেন, বিদ্রোহীদের মুম্বই ফিরে যেতে হবেই। এদিন এনসিপি এবং কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন উদ্ধব। জোটসঙ্গীদের তিনি জানিয়েছেন, একাধিক বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়েছে। উদ্ধবের কাছে আশ্বাসবাণী পেয়ে পওয়ার আবার দিল্লি যাবেন বলে খবর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*