উত্তর ২৪ পরগনার চারটি পৌরসভার চারটি ওয়ার্ডেই জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ গত ২৬ জুন ওই চার ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ করা হয় ৷ একটিতে উপ-নির্বাচন হয়েছিল ৷ বাকি তিনটিতে বকেয়া ভোট নেওয়া হয় ৷
দমদম পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন তৃণমূলের তাপস রায় ৷ ওই ওয়ার্ডে পৌরসভা ভোটের ঠিক আগে সিপিআই প্রার্থী মারা যান ৷ তাই ভোট স্থগিত রাখা হয় ৷ তাপস রায় ৩৪৫৯ ভোটের জয়ী হয়েছেন ৷ অন্যদিকে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আইনি জটিলতার জেরে ভোট হয়নি ৷ সেই ওয়ার্ডে জিতেছেন তৃণমূলের বনশ্রী চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি ১০৪৮৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ৷
ভাটপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের দু’দিন আগেই সিপিআইএমের প্রার্থী মারা যাওয়ায় ভোট হয়নি। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী কনকলতা দাস ১৩৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
তবে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে নজর ছিল সবচেয়ে বেশি ৷ কারণ, গত ১৩ মার্চ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হন ৷ ভরসন্ধ্যায় তাঁকে গুলি করে খুন করা হয় ৷ সেই কারণে ওই ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন হয় ৷ তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী দাস দত্ত ৷ তিনি ৩১৫৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন ৷
জয়ী প্রার্থীরা প্রত্যেকেই দাবি করেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। আগামিদিনে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ অন্যদিকে গণনা কেন্দ্রে এসে তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানান, এই ভোটের ফল প্রমাণ করে যে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি মানুষ পছন্দ করেন না। তার জন্যই এখানে বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে এবং এখানে কংগ্রেস আগামিদিনে উঠে আসবে ৷ কিন্তু বিজেপির কোনও জায়গা নেই।
যদিও বিরোধী বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীরা দাবি করেন, ভোটের নামে প্রহসন করা হয়েছে। এটা প্রশাসকের ভোট। ভোট গ্রহণের দিন থেকে এবং গণনা দিন পর্যন্ত তাঁদের কোনও কথা নির্বাচন কমিশন কর্ণপাত করেনি। এক এক জন ৪-৫টা করে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। ব্যালটে সই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
Be the first to comment