সরকারি-বেসরকারি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য বিধানসভায় রাজ্য সরকার একাধিক বিল পাশ করিয়েছে ৷ সেই সব বিলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সই করবেন কিনা তা নিয়ে বিতর্কও চলছে ৷ ক’দিন আগেই রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সব বিলের খুঁটিনাটি তিনি খতিয়ে দেখবেন ৷ এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য হিসেবে মহুয়া মুখোপাধ্যায়ের নাম জানিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল ৷
যদিও বর্তমান উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর কার্যকালের মেয়াদ রয়েছে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ফের শিক্ষাক্ষেত্রে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হল ৷
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের অধ্যাপক মহুয়ার নাম এদিন ঘোষণা করা হয় রাজভবনের তরফে কিন্তু বর্তমান উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর ৷ জানা গিয়েছে, সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধিতে আগেই আপত্তি তুলেছিলেন রাজ্যপাল ৷ এবার তাই তড়িঘড়ি নতুন উপাচার্য বেছে নিলেন তিনি ৷ এমনটাই মনে করছে শিক্ষামহল। এদিকে সূত্রের দাবি, জগদীপ ধনখড়ের সিদ্ধান্তে অখুশি সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী ৷ তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান৷ এর আগে প্রেসিডেন্সি, কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন জগদীপ ধনখড় ৷
রাজ্যপালের অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকার তাঁর সঙ্গে কথা না বলেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একতরফাভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছে৷ তা নিয়ে মূলত রাজভবন-নবান্ন সংঘাত শুরু ৷ যা পরবর্তীকালে তীব্র আকার ধারন করে৷ শিক্ষার প্রতিটি পদে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন বলে আচার্য পদ থেকে তাঁকে সরানোর জন্য উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার ৷
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কয়েকমাস আগে প্রকাশ্যেই বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ তারপরই তড়িঘড়ি বিধানসভার সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে বিল এনে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর বিষয়টি সেরে ফেলে তৃণমূল সরকার ৷
Be the first to comment