বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখল।
মামলার আবেদনকারীর অভিযোগ, রাজ্যের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে বেআইনিভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। নিয়ম অনুযায়ী সার্চ কমিটির সুপারিশ মতো তৈরি তালিকা থেকে আচার্য কাউকে উপাচার্য হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সার্চ কমিটির সুপারিশ মানা হয়নি। শিক্ষা দফতরের আমলাদের সুপারিশ মেনে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। একই রকম অনিয়ম হয়েছে কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও। এদিন আবেদনকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, আইন মেনে এই সব নিয়োগ হয়নি।
বহদিন ধরে খোদ রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড় অভিযোগ করে আসছেন, রাজ্যে অন্তত ২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। আচার্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকেও রাজ্যপাল একই কথা জানিয়েছেন। ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
কয়েকদিন আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্যের নাম রাজ্যপাল টুইট করে জানানোয় বিতর্ক তৈরি হয়। শিক্ষা দফতরই সার্চ কমিটির সুপারিশ আচার্যকে পাঠিয়ে দেয়। সেই তালিকায় থাকা প্রথম নামটিই রাজ্যপাল উপাচার্য পদে রাখার কথা জানান। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর ব্যাপারে বিধানসভায় বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। কাজেই রাজ্যপাল এখন প্রাক্তন আচার্য। তিনি বেআইনি এবং অগণতান্ত্রিক ভাবে উপাচার্যের নাম জানিয়েছেন।
রাজভবন অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। রাজভবনের বক্তব্য, বিল পাশ হলেও রাজ্যপাল এখনও সেগুলি অনুমোদন করেননি। তাই তিনি এখনও আচার্য পদে রয়েছেন।
Be the first to comment