তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে ভালবাসেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিষেশে সকলের সঙ্গে কথা বলতে ভালবাসেন। তাঁদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-ভাল-মন্দকে আপন করে নিতে জানেন। সেই জন্যই ছুঁতে পেরেছেন জনপ্রিয়তার শিখর। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিংয়ে ফের ‘ঘরের মেয়ে’ রূপেই ধরা দিলেন যিনি। নিজের হাতে ফুচকা বানিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালেন তিনি। নিজেও চেখে দেখলেন।
গোটা রাজ্যের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। শক্ত হাতে সামলান প্রশাসনিক দায়িত্ব। তবে তার মধ্যেও যে অনায়াসে সাধারণের সঙ্গে মিশে যাওয়া সম্ভব, সে দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন বারংবার। গত মার্চে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে নিজে হাতে মোমো বানিয়েছিলেন মমতা। স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই মোমো বিক্রেতাদের জন্য একটি দোকান ঘর করে দেওয়ার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার যা দেখে খুশি তিনি। এবার পাহাড় সফরে ব্যস্ত কর্মসূচির ফাঁকে দার্জিলিংয়ে মমতার নজর গেল রাস্তার ধারের ফুচকার দোকানের দিকে।
গাড়ি থেকে নেমে এসে সে দোকানের ফিতে কাটলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ফুচকা বানাতে উদ্যোগী হলেন। ফুচকার আলু নিজে বানিয়ে বাচ্চাদের ফুচকা খাওয়ালেন তিনি। নিজেও খেলেন। বুঝিয়ে দিলেন, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। দোকানের মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। আরও একবার মমতাকে এত কাছ থেকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রাও।
এদিন জিটিএর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকে পাহাড়ের যানজট, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান থেকে কর্মসংস্থান নিয়ে একাধিক বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এক নতুন দার্জিলিং গড়ার স্বপ্ন দেখান তিনি। তারপরই রওনা দেন নতুন কফি হাউসের উদ্বোধন করতে। সেখানে গিয়ে মাতেন আড্ডায়। গান রবীন্দ্র সংগীতও। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে মাত্র তিন মাসের মধ্যে দার্জিলিংয়ে তৈরি হয়ে গেল এই রুফটপ ক্যাফে ‘কাফে হাউস’।
Be the first to comment