বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেই বৈঠকে দলীয় সভাপতি নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। কথা হবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়েও। আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলা সেই কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রকে চাপে রাখার চেষ্টা হবে। কিন্তু এহেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেই থাকছেন না রাহুল গান্ধী। দলের প্রাক্তন সভাপতি ইতিমধ্যেই ইউরোপের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। যা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক কিংবা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ সময়ের আগেই বিদেশ যাত্রা অবশ্য রাহুলের এই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁর বিদেশ ভ্রমণ ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুর- পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগে প্রচারকাজ শুরু হতে দেরি হয়ে গিয়েছিল রাহুল দেশে ছিলেন না বলে। যার মূল্য চোকাতে হয়েছে নির্বাচনে। একের পর এক ভরাডুবির পরে এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হাত শিবির। সদ্য গোয়ায় দলের মধ্য ফাটল রোখা গিয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু সেই বৈঠকেও থাকা হবে না রাহুলের। উল্লেখ্য, আগামী রবিবার দেশে ফিরবেন কংগ্রেস নেতা।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। এরপরই সমস্ত ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন রাহুল। সেই থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। এতদিনেও করা যায়নি সভাপতি নির্বাচন। কিন্তু এবার নতুন সভাপতি বেছে নিতে চাইছে কংগ্রেস।
পাশাপাশি রাজস্থানের উদয়পুরে আয়োজিত কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের শেষ দিনই ঘোষণা করা হয়েছিল আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ১৯৪২ সালে কংগ্রেস ভারত ছাড়ো আন্দোলন করেছিল। সেই কথাকে মাথায় রেখেই ২০২২ সালে এবার কংগ্রেস শুরু করবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। বলা হচ্ছে, এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রাই রয়েছে কংগ্রেসের। এই বিষয়েও আলোচনা হওয়ার কথা বৈঠকে। কিন্তু এহেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রাহুলের অনুপস্থিতি ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছে। তবে দলের তরফে এখনও সরাসরি কিছুই বলা হয়নি এই বিষয়ে। কিন্তু কেন এমন এক বৈঠকে রাহুল থাকবেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
Be the first to comment