শ্রীলঙ্কার পলাতক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে কেন মালদ্বীপে আশ্রয় দেওয়া হল, তা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিরোধীরা তার কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন সংসদের স্পিকার তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিরকে। সরকারের যুক্তি, রাজাপক্ষে এখনও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদে বহাল রয়েছেন। তিনি ইস্তফা দেননি। এমনকী কাউকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। এই অবস্থায় তিনি মালদ্বীপে আসতে চাইতেই পারেন। তাঁকে বাধা দেওয়া ঠিক হত না। কিন্তু সরকারের এই যুক্তি কতটা ধোপে টিকবে, তা নিয়ে সেখানকার রাজনৈতিক মহলের সংশয় রয়েছে। সূত্রের খবর, রাজাপক্ষেকে আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকেই মালদ্বীপে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজাপক্ষেকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চলছে।
ভারত সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, গোতাবায়াকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তিনি মঙ্গলবার ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। তখনই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, কোনও অসামরিক বিমানবন্দরে তাঁর বিমানকে নামতে দেওয়া হবে না। ভারত সরকার খোলাখুলিই জানিয়েছে, তারা শ্রীলঙ্কার জনগণের পক্ষেই রয়েছে এবং থাকবে। মালদ্বীপ প্রশাসনের খবর, স্পিকার তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছিলেন আশ্রয় পাওয়ার ব্যাপারে।
৭৩ বছর বয়সি রাজাপক্ষে স্ত্রী এবং দুই নিরাপত্তা আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে বুধবার ভোরে একটি সামরিক বিমানে চেপে মালদ্বীপে আসেন। শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, সাংবিধানিক রীতি মেনেই প্রেসিডেন্ট বায়ুসেনার বিমানে মালদ্বীপে গিয়েছেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের খবর, গোতাবায়ার সঙ্গে স্ত্রী, দুই নিরাপত্তা আধিকারিক ছাড়াও মোট ১৩ জন রয়েছেন। তবে এই ১৩ জন কারা, তা জানা যায়নি।
Be the first to comment