অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ফোনেই বাজিমাত। দোমোহনি হাটের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী জেলাপরিষদের সভাধিপতি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ফোন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাজার পরিদর্শন করলেন তিনি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান সভাধিপতি।
ঘটনাটি ঠিক কী? মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি হয়ে ধূপগুড়ির জনসভায় যাওয়ার পথে আচমকা ময়নাগুড়ির দোমোহনি হাটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাটের সমস্যার কথা শোনেন তিনি। ব্যবসায়ীদের নিয়ে হাট ঘুরে দেখেন। এবং সেখানে দাঁড়িয়ে জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি জানতে পারেন, সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয় না জেলাপরিষদ।
এরপরই জেলাপরিষদের সভাধিপতিকে ফোন করেন অভিষেক। কার্যত ধমকের সুরেই জানতে চান কেন দোমোহনি হাটের সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না জেলাপরিষদ। সমস্যা খতিয়ে দেখে দেড়মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোন পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল জেলাপরিষদ কর্তৃপক্ষ। রাতেই দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন সভাপতি উত্তরা বর্মন। বুধবার সকালে জেলাপরিষদে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন।
বুধবার দুপুরে নিজেই দোমোহনি হাটে গিয়ে উপস্থিত হন সভাধিপতি। ব্যবসায়ীদের নিয়ে হাটের কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, ঘুরে ঘুরে দেখেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ছুটে আসতে দেখে দোমোহনির বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এবার কাজের কাজ হবেই।
সভাধিপতি এবং জেলাপরিষদের আধিকারিকদের হাটের সমস্যার কথা জানান ব্যবসায়ীরা। পরে জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন জানান, দোমোহনি হাটে নিকাশি নালা, রাস্তা, শৌচালয়-সহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য যে টিনের শেড রয়েছে সেগুলি বহু পুরনো। সেগুলির সংস্কার প্রয়োজন। দ্রুত এই কাজগুলি করা হবে। একইসঙ্গে স্বপক্ষে সাফাই গেয়ে সভাধিপতি বলেন, দোমোহনি হাটের যে এত সমস্যা রয়েছে তা তাকে আগে কেউ জানাননি।অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানানোর পর নিজে এসে সমস্যাগুলো চাক্ষুস করেছি। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নির্দেশমতো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যাতে কাজ শেষ করা যায় সেই চেষ্টা করছি।
Be the first to comment