অশোকস্তম্ভের সিংহের ‘বিকৃতি’ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “নাম, প্রতীক সব বদলে দিচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ।” বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল পার্কে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানকার সাংবাদিক বৈঠক থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। মূল্যবৃদ্ধি থেকে অশোকস্তম্ভের সিংহের ‘বিকৃতি’ নিয়ে তোপ দাগেন তিনি।
অভিষেকের কথায়, বিজেপি তো সব বদলে দিচ্ছে। নাম-প্রতীক, সবকিছুতেই বদল আনছে। কিন্তু দেশের মানুষ খেতে পাচ্ছে না। দেশে জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ অবস্থা। সরব হন লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও। অভিষেকের প্রশ্ন, জাতীয় প্রতীকের উদ্বোধন করতে রাষ্ট্রপতিকেও ডাকা হয় না। বিরোধী দলের কথা বাদই দিলাম। প্রধানমন্ত্রী একা তড়িঘড়ি উদ্বোধন করে দিলেন। রাষ্ট্রপতি পদে একজনকে বসিয়ে যোগ্য সম্মান দেয় না বিজেপি। শুধু মুখেই বলে একজন তফসিলি জাতি, একজন আদিবাসীকে রাষ্ট্রপতি করলাম আমরা। কিন্তু যোগ্য সম্মান দেওয়া হয় না।” বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা নিয়েও কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, উদ্বোধনের সময় থেকেই ব্রোঞ্জের এই অতিকায় অশোক স্তম্ভকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের দাবি, জাতীয় প্রতীকের অবমাননা করা হয়েছে।
একুশ জুলাইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। অন্যান্য জেলা থেকে প্রচুর কর্মী আসবেন শহরে। তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। সেই ব্যবস্থায় ঘুরে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সেখানে একদফাও বৈঠকও সারেন তিনি। জানিয়েছেন, করোনাবিধি মেনেই সব ব্যবস্থা হচ্ছে। দু’বছর পর ফের একুশে জুলাই হচ্ছে। মানুষের উদ্দীপনা বেশি। তবে উপস্থিত সকলকে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করা হবে। খাবারের জায়গায় সিসিটিভি লাগানো হয়েছে, যাতে দূরত্ববিধি বজায় থাকছে কি না তার দিকে নজর রাখা যায়।
Be the first to comment