রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন শুক্রবার। দেশের প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সূর্য তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে এদিন সকালেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফা গ্রহণ করেন। দেশের সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত কাজ চালাবেন বিক্রমসিঙ্ঘে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, রনিল অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আগামী ২০ জুলাই পার্লামেন্টে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে ২২৫ জন সদস্য নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার পর আগামিকাল, শনিবার বসছে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন। পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে জনতার কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। তার মধ্যে দেশের এমপিদের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আবেদন করেছেন।
গোতাবায়ার ইস্তফার খবরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশে উৎসবের মেজাজ। লোকজন ঢাকঢোল পিটিয়ে রাজপথে নেমে নাচগান শুরু করে দেন। গোটা কলম্বোয় আন্দোলনকারীরা এটা তাঁদের জয় বলে আনন্দ করতে থাকেন। পোড়ানো হয় আতসবাজি, ওড়ানো হয় ফানুস।
কিন্তু, কে হতে চলেছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? এই ইঁদুরদৌড়ে রয়েছেন— ৬ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাস। তৃতীয় ব্যক্তিটি হলেন ডুলাস আলাহাপ্পেরুমা। এই দৌড়ের একেবারে ‘কালো ঘোড়া’ তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন। যদিও এবারের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক আলাদা। কারণ, পার্লামেন্টের ভিতরে ছাড়াও জনগণের আস্থা অর্জনকারী ব্যক্তিই ওই পদে বসতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ লঙ্কাবাসীর গণ-আন্দোলন ‘আরাগালয়া’, যার অর্থ সংগ্রাম, সেই লড়াইয়ের সাফল্য নির্ভর করছে প্রেসিডেন্ট ভোটের উপর।
Be the first to comment