কলকাতা পৌরনিগমে অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত 8টি অ্যাম্বুল্যান্স দিলেন চেয়ারপার্সন মালা রায় ৷ তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় কেনা হয়েছে এই অ্যাম্বুল্যান্সগুলি। সেই সঙ্গে ৫টি শববাহী গাড়িও পৌরনিগমকে দেওয়া হয়েছে ৷ মূলত করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, নাগরিক পরিষেবা দিতে পৌরনিগমকে হিমশিম খেতে হয়েছিল ৷ সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার মালা রায় তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্স ও শববাহী গাড়িগুলি দিয়েছেন ৷
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কঙ্কালসার চেহারা ৷ শহর কলকাতার অবস্থাও খুব একটা আলাদা ছিল না ৷ হাসপাতালের শয্যা থেকে ওষুধ এমনকী অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শববাহী গাড়ি সবক্ষেত্রেই ছিল হাহাকার পরিস্থিতি ৷ নামমাত্র জ্বরের ওষুধের দাম যেমন ছিল আকাশ ছোঁয়া, তেমনই অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া গুনতে গিয়ে নিঃস্ব হওয়ার জোগাড় হয়েছিল নাগরিকদের ৷ সেই সময় কলকাতা পৌরনিগমের অ্যাম্বুল্যান্স ছিল হাতে গোনা ৷ আর তা দিয়ে পরিস্থিতি সামলানো দায় হয়ে গিয়েছিল ৷ সেই অভিজ্ঞতার শিকার যাতে সাধারণ মানুষকে না হতে হয়, তাই পৌরনিগমের চেয়ারপার্সন মালা রায় তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় 8টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ৫টি শববাহী গাড়ি দান করেছেন ৷
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, আগে স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা ছিল ১০টি ৷ সেগুলি খুবই পুরনো ৷ এবার আরও ৮টি উন্নতমানের অ্যাম্বুল্যান্স আসায়, সংখ্যাটা ১৮ হয়েছে ৷ অন্যদিকে, শববাহী গাড়ির সংখ্যা ছিল মাত্র ৩টি ৷ আরও ৫টি নতুন শববাহী গাড়ি যোগ হল তার সঙ্গে ৷ ফলে, বর্তমানে করোনা বাড়লেও পরিষেবা দিতে পৌরনিগমের কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ ৷ এমনকী অসুস্থ কুকুরকে নিয়ে যাওয়ার জন্যও ৫টি আলাদা অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছেন সাংসদ ৷
কলকাতা পৌরনিগমের চেয়ারম্যান মালা রায় এ বিষয় বলেন, ‘গত দু’বছর ধরে অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে বহু রোগীকে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৷ প্রাইভেটে ভাড়া করে যেতে হয়েছে ৷ সৎকার করতে দিনে ফোন করলে রাতে গাড়ি এসেছে ৷ এত চাপ ও গাড়ির অভাব ছিল ৷ পৌরনিগমের অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া খুব কম ৷ দু’ঘণ্টার জন্য ২০০ টাকা ৷ অতিরিক্ত প্রতি ঘণ্টায় ৫০ টাকা করে দিতে হয়।
Be the first to comment