ক্রমশ জল্পনা বাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পর শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন ধনকড়। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ দুজনের সাক্ষাৎ হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে বৈঠকের সেই ছবি টুইট করা হয়। তবে দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে, কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেন বাংলার রাজ্যপাল। গতকাল দুপুর ৩টে ৪২ নাগাদ টুইটে সাক্ষাতের কথা জানান ধনকড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকে তাঁর দিল্লির বাসভবনে যান বাংলার রাজ্যপাল। সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের। যদিও কথোপকথন সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। এরপর ফের শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংবিধান অনুযায়ী দেশের দুই শীর্ষ পদাধিকারীর সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাতে জল্পনা আরও বাড়লো।
উল্লেখ্য, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য – প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। কখনও টুইট আবার কখনও চিঠি পাঠিয়ে নবান্নের বিরিদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। দু’পক্ষের অসন্তোষের জেরে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতাও খর্ব করেছে রাজ্য সরকার। তবে সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। মমতা নিমন্ত্রণ রক্ষা করেন। দার্জিলিংয়ে দু’জনের দেখা সাক্ষাৎ এমনকী কথাও হয়। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জিটিএ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল।
এরপর শুক্রবার প্রায় গোপনে দিল্লি পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন তিনি। ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা হল, তা জানা যায়নি। পরদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করলেন তিনি। যার জেরে রাজনৈতিক মহলে চলছে কানাঘুষো। রাজ্যের বিরুদ্ধে কি ফের নালিশ জানাতেই দিল্লি সফর রাজ্যপালের, উঠছে প্রশ্ন।
Be the first to comment